• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

চিকিৎসকের ভুলে ১১ বছর ধরে পেটে বয়ে চলেছেন সুই-সুতা!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৩, ০১:০৭ পিএম
চিকিৎসকের ভুলে ১১ বছর ধরে পেটে বয়ে চলেছেন সুই-সুতা!

কলম্বিয়ার মারিয়া অ্যাডেরলিন্ডা চিকিৎসকের ভুলের কারণে ২০১২ সাল থেকে পেটের মধ্যে বয়ে চলেছেন সুই-সুতা! চতুর্থ সন্তান জন্মের পরপরই প্রচণ্ড পেটে ব্যথা নিয়েই প্রায় একযুগ পার করেছেন তিনি। দীর্ঘ এক যুগ পর বিষয়টি জানতে পারেন সম্প্রতি। কলম্বিয়ার এল রেটোর্নোর সান ইসিড্রো গ্রামে বাস করেন এই নারী।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, প্রায় এক যুগ ধরে তিনি পেটের মধ্যে অপারেশনের সুই-সুতা বহন করে চলেছেন। সম্প্রতি জানতে পারেন বিষয়টি। জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য লাইগেশন করা সময় তার পেটে সুই-সুতা রেখেই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন চিকিৎসক। লাইগেশন নারীর জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি।

অস্ত্রোপচারের পর সমস্যা মনে হয়নি মারিয়ার। ফলে কয়েক দিন পরই হাসপাতাল ছাড়েন। এর কিছুদিন পর পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেন ৩৯ বছর বয়সী ওই নারী। কিন্তু যতবারই তিনি চিকিৎসকের কাছে গেছেন শুধু ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল দেওয়া হয়। তাতেও ব্যথা না কমায় চিকিৎসকরা তাকে শক্তিশালী ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগ করেন।

মারিয়া বলেন, “ব্যথা এতটাই তীব্র যে প্রায়ই ঘুম বা চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটতো। পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ হয়েছিল ব্যথার কারণে বেশ কয়েকটি চাকরিও পরিবর্তন করতে হয়েছে।”

মারিয়ার গ্রাম থেকে সান জোসে ডেল গুয়াভিয়ারে ক্লিনিকে যেতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তার পরিবারের মাত্র একটি মোটরসাইকেল থাকায় বৈরি আবহাওয়াতে কখনো কখনো ক্লিনিকে যেতে কষ্ট হতো। যাতায়াতের অসুবিধার কারণে অনেক সময় ব্যথানাশক ওষুধ খেতেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত এমআরআই এবং আলট্রাসাউন্ড করালে ব্যথার প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসে। দেখা যায়, তার পেটে একটি লম্বা সুতা ও সুই রয়েছে। ব্যথার সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়ার আগে তিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বেদনাদায়ক অবস্থার মধ্যেই জীবনযাপন করেছেন।

শিগগিরই ১১ বছরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। ২০১২ সালে অপারেশনের সময় চিকিৎসক বা ক্লিনিকের ভুল ছিল কিনা, এ বিষয়ে রিপোর্ট পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকদিন।

এই সুই কীভাবে অপসারণ করা যায়, সার্বিক বিষয়ে করণীয় নিয়ে আগামী ১২ মে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

Link copied!