• ঢাকা
  • বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের নিয়ম জানুন: কোনটিতে মুনাফা সবচেয়ে বেশি, সীমা কত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের নিয়ম জানুন: কোনটিতে মুনাফা সবচেয়ে বেশি, সীমা কত

বর্তমান ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতায় অনেকেই তাদের সঞ্চিত অর্থ নিরাপদ স্থানে বিনিয়োগের উপায় খুঁজছেন। সেই জায়গায় সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বিকল্প হয়ে উঠেছে জাতীয় সঞ্চয়পত্র। নিরাপদ বিনিয়োগ, নিশ্চিত মুনাফা ও সরকারি গ্যারান্টি—সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্র এখন মধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণির মানুষের কাছে জনপ্রিয় সঞ্চয়ের মাধ্যম।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীনে বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র চালু আছে—
১️. পরিবার সঞ্চয়পত্র
২️. পেনশনার সঞ্চয়পত্র
৩️. বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র (৫ বছর মেয়াদি)
৪️. তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র

কে কোন সঞ্চয়পত্র সর্বোচ্চ কত টাকার কিনতে পারবেন, সেটা দেখে নেওয়া যাক-

পরিবার সঞ্চয়পত্র: এটি কেনা যাবে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নারীরাই কিনতে পারবেন এটি। তবে যেকোনো বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ এবং ৬৫ ও তদূর্ধ্ব বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।

পেনশনার সঞ্চয়পত্র: একজন ব্যক্তি এই সঞ্চয়পত্র ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত কিনতে পারবেন। এটি একক নামে সর্বোচ্চ বিনিয়োগসীমা। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী বা স্ত্রী বা সন্তান কিনতে পারবেন এটি।  ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়।

বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র: ১০ টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা মূল্যমানের পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র আছে। এই সঞ্চয়পত্র একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি কিনতে পারবেন।

মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র: ১ লাখ টাকা থেকে শুরু এই সঞ্চয়পত্র তিন মাস অন্তর সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকার ক্রয় করা যাবে।

সব মিলিয়ে কেউ যদি একটি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে চায়, তাহলে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে। 

জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা, বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা ও ডাকঘর থেকে এসব সঞ্চয়পত্র কেনা ও ভাঙানো যায়।

কোন সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কত

পরিবার সঞ্চয়পত্র:

এই সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

পেনশনার সঞ্চয়পত্র:

এটিতে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফা ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ। সঞ্চয়পত্রগুলোর মধ্যে এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র:

পাঁচ বছর মেয়াদি এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ।

মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র:

তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
 

Link copied!