উত্তেজনা কমাতে মস্কো সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করলেও রুশ হামলা থেকে রেহাই পাওয়ার ব্যাপারে এখনই আশ্বস্ত হতে পারছে না ইউক্রেন। রাশিয়ার কাছে ক্রিমিয়া অঞ্চলের দখল হারানোর অতীত ইতিহাস আতঙ্কিত করে রেখেছে এই প্রতিবেশী দেশটিকে।
একদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমঝোতার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন আর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও জোর দিয়ে বলছেন যে তিনি “যুদ্ধ চান না”।
আর অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা আর সীমান্তে রুশ সামরিক বাহিনীর গতিবিধি বলছে অন্য কথা। রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণাতেও সন্তুষ্ট নয় পশ্চিমা জোট। এমন পরিস্থিতিতে এই সংকট কোন দিকে মোড় নেবে, তা এখনো পর্যন্ত অস্পষ্ট।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলত্জের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে পুতিন জানান, ইউরোপে যুদ্ধ চান না তিনি। এর আগে বিবিসির খবরে সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরুরও ইঙ্গিত দেওয়া হয়।
এর আগে ইউক্রেনে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও সম্ভাব্য সামরিক সংঘাতের আশঙ্কায় উদ্বেগ জানায় জাতিসংঘ। পরিস্থিতি শান্ত করতে বিশ্বনেতাদের কূটনীতি জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।