রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, “যুদ্ধ বন্ধ করার একমাত্র পথ আমার সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখোমুখি আলোচনা।”
জেলেনস্কির ওই প্রস্তাবের বিষয়ে অবশ্য এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ক্রেমলিন।
এদিকে বৃহস্পতিবারের প্রতিনিধি স্তরের বৈঠকে দুই দেশই যুদ্ধ-পরিস্থিতিতে আটকে পড়া বেসামরিক মানুষদের উদ্ধারের পথ করে দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার দাবিও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার জবাব মেলেনি।
বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছেন, খুব শিগগির তৃতীয় দফার বৈঠক বসবেন। সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি ধরেই বৈঠক এগোচ্ছে।
বৈঠকের পর জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইল পোডোলক তার সরকারি টুইটারে লিখেছেন, “দ্বিতীয় দফার আলোচনা শেষ হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, ইউক্রেনের প্রয়োজনীয় ফলাফল এখনো অর্জন করা সম্ভব হয়নি। শুধু বেসামরিক জনগণকে মানবিক করিডোর দেওয়ার বিষয়ে একটি সমাধানসূত্রের সন্ধান মিলেছে।”
বৃহস্পতিবার বেলারুশ সীমান্তে শান্তি বৈঠকের মধ্যেও কিয়েভ, খারকিভ, ওডেসা, মারিউপোলসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা।
রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে শরণার্থীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কিয়েভসহ কয়েকটি শহরের নাগরিকদের জন্য ‘মানবিক করিডোর’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বেসামরিক প্রাণহানির সংখ্যা কমাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।