২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আন্দোলন দমনে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের চিত্র সামনে আসতে থাকে। তবে বিবিসির তথ্য বলছে, ক্রমশ বদলে যাচ্ছে এই দৃশ্যপট।
সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই জীবনবাজি রেখে লড়াই করছে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে। সহিংসতার ধরণ, মাত্রা ও বিক্ষোভকারীদের সমন্বয় দেখে বিশ্লেষকরা বলছেন গৃহযুদ্ধের পথেই হাঁটছে মিয়ানমার।
বিবিসি জানায়, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ও বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেড়েই চলেছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সমন্বয় বেড়েছে এবং শহর এলাকাতেও আনাগোনা বেড়েছে তাদের।
মিয়ানমারের পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা প্রজেক্ট (অ্যাকলেড) বলছে, আগস্ট মাসের পর থেকে সংঘর্ষগুলো রক্তক্ষয়ী হয়ে উঠতে শুরু করেছে। এমন সহিংসতা পুরো দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে।
এছাড়াও সেনা অভ্যুত্থানের পর সামরিক বাহিনীর অভিযানে বহু বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। অ্যাকলেড বলছে সামরিক জান্তার ক্ষমতা দখলের পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত বার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে দেশটিতে।
তবে এখন বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটছে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে। বেসামরিক নাগরিকরাও অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছে বলে দাবি করছে অ্যাকলেড।
জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার প্রধান মিশেল ব্যাশেলেট বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতকে এখন গৃহযুদ্ধই বলা উচিত। তাই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি।