ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অভিযানের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছানোয় তারা প্রথম ধাপের অভিযান শেষ করছে। এখন তাদের অভিযানের লক্ষ্য ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন রুশ সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার সার্গেই রুস্কয়। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
রুশ সামরিক কর্মকর্তা সার্গেই রুস্কয় বলেন, “আমাদের অভিযানের প্রথম ধাপের প্রধান কাজগুলো শেষ। এর মধ্যেই ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সক্ষমতা কমেছে। ফলে দনবাসকে স্বাধীন করার প্রধান লক্ষ্যটি অর্জনের প্রচেষ্টায় আমরা মনোযোগী হতে পারব।”
তিনি আরও বলেন, “মানুষ ভাবছে ইউক্রেনের শহরগুলো অবরুদ্ধ করে আমরা কী করছি। দনবাস অঞ্চলে আট বছর ধরে ইউক্রেনীয় বাহিনীগুলো সুসজ্জিত প্রতিরক্ষা অঞ্চল তৈরি করেছে, যা আমরা ধ্বংস করে দিচ্ছি। এ অঞ্চলে জ্বালানি, গোলাবারুদসহ সামরিক রসদ সরবরাহের পথ বন্ধ করতে রুশ সেনারা গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশনগুলো বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছেন।”
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সৈন্য নিহত হওয়া নিয়ে তথ্যগত ধন্দ দেখা দিয়েছে। সৈন্য হতাহতের সংখ্যা নিয়ে রাশিয়া এক রকম তথ্য দিচ্ছে, আর ইউক্রেন দিচ্ছে অন্য তথ্য। দুই পক্ষ থেকে দেওয়া তথ্য সাংঘর্ষিক।
তবে এ সংবাদ সম্মেল থেকে যুদ্ধে সৈন্য হতাহতের বিষয়টিও পরিষ্কার করেছেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর পরিচালন অধিদপ্তরের প্রধান রুস্কয়।
তিনি জানান, যুদ্ধে রুশ বাহিনীর ১ হাজার ৩৫১ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৮২৫ জন। আর ইউক্রেনের প্রায় ৩০ হাজার সেনা হতাহত হয়েছেন।
সবশেষ ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দাবি করেছিল, এক মাসের যুদ্ধে রাশিয়া ১৫ হাজার সেনা হারিয়েছে। এছাড়া রাশিয়ার বহু সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর হামলায় অংশ নেওয়া রাশিয়া অর্ধেক সৈন্য হারিয়েছে।
এর আগে ২ মার্চ প্রথম নিজেদের সৈন্য হতাহতের তথ্য জানায় ক্রেমলিন। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত ৪৯৮ জন সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছিল ক্রেমলিন।
ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করেছে এক মাস পার হচ্ছে। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ ও নাৎসিমুক্ত করা না পর্যন্ত অভিযান চলবে। পশ্চিমাদের দাবি, মিথ্যা অভিযোগে যুদ্ধ চালাচ্ছে ক্রেমলিন।