জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, জাতিসংঘের নারী কর্মীদের আফগানিস্তানে কাজ করা নিষিদ্ধ করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তালিবান। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, আফগানিস্তানে সহায়তা সংস্থাগুলোর কাজ করার ক্ষমতাকে হ্রাস করতে ‘বিরক্তিকর প্রবণতার’ সর্বশেষ ঘটনা এটি। মূলত তালেবান গোষ্ঠী আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে মানবিক সংকট চলছে এবং আফগান জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষের এখন মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন। সংখ্যার বিচারে যা প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আফগানিস্তানে জাতিসংঘের হয়ে কাজ করা আফগান নারীদের ওপর যে কোনো নিষেধাজ্ঞাকে ‘অগ্রহণযোগ্য এবং স্পষ্টভাবে অকল্পনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তালেবান প্রশাসন এবং আফগান তথ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্ররা তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
জাতিসংঘের দু’টি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, নারীদের কাজ করার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার বিষয়ে উদ্বেগের কারণে জাতিসংঘ আফগান ভূখণ্ডে তার সকল কর্মীকে ৪৮ ঘণ্টা অফিসে আসতে বারণ করেছে।
স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, “তালেবানের এই পদক্ষেপ আমাদের কর্মকাণ্ডের ওপর ঠিক কিভাবে প্রভাব ফেলে তা আমরা এখনও খতিয়ে দেখছি এবং আমরা আগামীকাল কাবুলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সাথে আরও বৈঠক করার আশা করছি। আমরা এই বিষয়ে আরও পরিষ্কার হওয়ার চেষ্টা করছি। যদিও (নারী কর্মীদের কাজ বন্ধের আদেশ সম্পর্কে) আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত লিখিত কিছু নেই।”
এদিকে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নানগারহারে নারী কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে আসা বন্ধের বিষয়ে মঙ্গলবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আফগানিস্তানে অবস্থিত জাতিসংঘের মিশন (ইউএনএএমএ)।
জাতিসংঘের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নানগারহারের রাজধানী শহরের কথা উল্লেখ করে রয়টার্সকে বলেছেন, “জালালাবাদে নারী কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার হুমকির কারণে সংস্থাটির সকল জাতীয় কর্মী (পুরুষ ও নারী) ৪৮ ঘণ্টার জন্য জাতিসংঘের অফিসে আসবে না।”
২০২১ সালের আগস্টে তালেবান গোষ্ঠী আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর দেশটিতে অনেক সাংবাদিক তাদের চাকরি হারিয়েছেন। আফগান ইন্ডিপেন্ডেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’র মতে, তহবিলের অভাবে বা কর্মীরা দেশ ছেড়ে যাওয়ার কারণে মিডিয়া আউটলেটগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ ষষ্ঠ শ্রেণির বাইরের অধিকাংশ শিক্ষা ও চাকরি করার ওপর নারীদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তালেবান।
যদিও ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে নিজেদের পূর্ববর্তী শাসনের সময় তালেবান গোষ্ঠী দেশের বেশিরভাগ টেলিভিশন, রেডিও এবং সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করেছিল।
 
                
              
-20230405064313.jpg) 
																                   
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    




































