ভারতে উত্তরাখন্ডের টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ আবারও বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবারের (২৩ নভেম্বর) উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায় বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) রাতে শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য টানেলের ভেতরে ঢুকে পড়েছিলেন ২১ উদ্ধারকর্মী। উদ্ধারকাজ চলমান থাকাবস্থায় হঠাৎ একটি লোহার রড চলে আসায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। বৃহস্পতিবার সকালে লোহার রডটি কেটে সরানো হয়েছে বলে জানা যায়।
আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে উদ্ধারকারীদের দূরত্ব আর মাত্র ছয় মিটার। ফলে দ্রুত কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়। ফলে উদ্ধারকাজে আবারও বাধা আসে। টানা খুঁড়তে খুঁড়তে যন্ত্র অতিরিক্ত গরম হয়ে উঠেছিল। তা ঠান্ডা করার জন্য আরও কিছুটা সময় লাগবে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উদ্ধারকাজ বর্তমানে বন্ধ আছে। মেশিনটি ঠিক করতে কিছু সময় লাগতে পারে। তবে অন্য কোনো সমস্যা তৈরি না হলে সকাল ৯টায় তারা আবার উদ্ধারকাজ শুরু করবে।
এদিকে শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ নজরদারি করার জন্য উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিংহ ধামী সেখানে সারা রাত থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
শ্রমিকদের উদ্ধারের পর তাদের চিকিৎসার জন্য ৪১ বেডের একটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে টানেলের বাইরে তাদের জন্য ২০টি অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষা করছে।
এদিকে উদ্ধারকাজে আবারও দেরি হওয়ায় শ্রমিকদের মানসিকভাবে সতেজ ও দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে লুডু, দাবাসহ বিভিন্ন কার্ড খেলার জন্য পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানান উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা। তারা বলেন, শ্রমিকদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) নির্মাণাধীন এই টানেলটিতে আটকে পড়ার ৯ দিন পর ৬ ইঞ্চি প্রশস্ত পাইপ ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করাতে সক্ষম হন উদ্ধারকারী দল। এর কিছুক্ষণ পরই পাইপটির সাহায্যে শ্রমিকদের কাছে বোতল দিয়ে গরম খাবার পাঠান তারা।
১২ নভেম্বর ভোরে উত্তরাখন্ডের নির্মাণাধীন এই টানেলের ভেতরে ধস নামলে সেটির কাঠামো ভেঙে যায়। কর্মরত শ্রমিকরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েন। ধ্বংসাবশেষ টানেলে পড়ে যাওয়ায় এবং বারবার ভাঙন হওয়ায় উদ্ধারকাজ অনেকটা ধীর ও জটিল হয়ে পড়ে।
সূত্র: এনডিটিভি