ধারণা করা হয় বিভিন্ন সময় যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়েছে প্রায় ২ হাজার মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ। সম্প্রতি জাদুঘরের চেয়ারম্যান জর্জ অসবোর্ন জানিয়েছেন, হারিয়ে যাওয়া অনেক মূল্যবান জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
জর্জ অসবোর্ন স্বীকার করেন যে চুরির ঘটনায় জাদুঘরের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। তবে তিনি এই অবস্থার উন্নতি হবে বলে জানান। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জাদুঘরের এক কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) জাদুঘরের পরিচালক হার্টউইগ ফিশার ২০২১ সালে এক তদন্ত ভুলভাবে পরিচালনার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ব্রিটিশ জাদুঘর হলো যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। জাদুঘরটি যুক্তরাজ্যের অন্যতম প্রধান পর্যটক আকর্ষণ। চলতি মাসের শুরুতে জাদুঘর থেকে বেশ কিছু জিনিস ‘হারানো, চুরি যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্থ’ হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। যার মধ্যে রয়েছে খ্রিষ্টপূর্ব ১৫ শতক থেকে ১৯ খিষ্টাব্দ সময়ের অসংখ্য মূল্যবান জিনিস। যা মূলত একাডেমিক ও গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হতো। যে কারণে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ চাপের মধ্যে পড়ে।
২০২১ সালে জাদুঘরের দায়িত্বে বসা জর্জ অসবোর্ন বিবিসি রেডিওকে বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে চুরি যাওয়া জিনিস উদ্ধার করতে শুরু করেছি। দীর্ঘদিন ধরে আমরা চোরদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এসেছি। আর এ অবস্থা ঠেকাতে আমারা আরও বেশি কিছু করতে পারতাম।”
১৭৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ব্রিটিশ মিউজিয়ামে প্রায় ৮০ লাখ মূল্যবান বস্তু সংরক্ষিত রয়েছে। কিন্তু ২০১৯ সাল পর্যন্ত মাত্র ৮০ হাজার জিনিস জনসাধারণের জন্য প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। বাকি সব মূল্যবান জিনিস জাদুঘরের সংরক্ষণাগারে রয়েছে।



































