• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ইউক্রেনকে আর অস্ত্র দেবে না পোল্যান্ড


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩, ১০:৩৩ এএম
ইউক্রেনকে আর অস্ত্র দেবে না পোল্যান্ড
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি । সংগৃহীত

ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান মিত্র পোল্যান্ড জানিয়েছে যে তারা আর কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করবে না। শস্য নিয়ে কূটনৈতিক বিরোধের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিল ওয়ারশ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক টেলিভিশন ভাষণে ইউক্রেনকে আর অস্ত্র সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। শস্য আমদানি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্রুত উত্তেজনা বৃদ্ধির এক দিন পর এ ঘোষণা এলো।

মাতেউস মোরাউইকি বলেন, “আমরা আর ইউক্রেনে অস্ত্র হস্তান্তর করছি না, কারণ আমরা এখন পোল্যান্ডকে আরও আধুনিক অস্ত্র দিয়ে সশস্ত্র করছি।”

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পোল্যান্ড জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির করা মন্তব্যের জন্য ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল।

জেলেনস্কি বলেছিলেন, কিছু দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করার ভান করছে। যেটিকে ওয়ারশ পোল্যান্ডের ব্যাপারে অযৌক্তিক বলে নিন্দা করেছে। তারা আরও বলে দেশটি যুদ্ধের প্রথম দিন থেকেই ইউক্রেনকে সমর্থন করেছে।

শস্য বিরোধ শুরু হয় রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর কৃষ্ণসাগরে শিপিং লেনগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ফলে, যা ইউক্রেনকে বিকল্প পথ খুঁজতে বাধ্য করে। এর ফলে মধ্য ইউরোপে প্রচুর পরিমাণে শস্যের গন্তব্য হয়ে দাঁড়ায়।

ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাময়িকভাবে পাঁচটি দেশে শস্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। দেশগুলো হল বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়া। স্থানীয় কৃষকদের রক্ষা করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের আশঙ্কা ছিল যে ইউক্রেনীয় শস্য স্থানীয় শস্যের দাম কমিয়ে দেবে।

নিষেধাজ্ঞাটি ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয় এবং ইইউ এটি আর নবায়ন করেনি। তবে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও পোল্যান্ড এটি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ইইউ বলছে, ব্লকের মেনে চলা বাণিজ্য নীতির বাইরে ইইউ সদস্যরা পৃথকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইউক্রেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তারা বলছে যে এটি আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন।

ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিডেনকো বলেছেন, “আমাদের পক্ষে এটি প্রমাণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে পৃথক সদস্য রাষ্ট্রগুলো ইউক্রেনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করতে পারে না।”

কিন্তু পোল্যান্ড বলেছে যে তারা নিষেধাজ্ঞা জারি রাখবে এবং “ডব্লিউটিও এর কাছে করা অভিযোগ আমাদের প্রভাবিত করছে না।”

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশ তিনটি বলেছে, তারা এখনো তাদের দেশের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনকে অন্যান্য দেশে শস্য পরিবহনের অনুমতি দেবে।

Link copied!