মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণ করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, কর্মসংস্থানের আশায় সরকারি নিয়ম মেনে দেশটিতে গিয়ে বাংলাদেশিরা এখন চরম দুরবস্থায় রয়েছেন। ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি মোকাবিলা ও বাংলাদেশিদের শোষণসহ অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
জেনেভা থেকে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতিসংঘের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক মাস ধরেই দেশটিতে বাংলাদেশি অভিবাসীরা অসম্মানজনক অবস্থায় বসবাস করছেন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বেশির ভাগ অভিবাসী মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দেখেন, তাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে, সেই কর্মসংস্থান নেই। এমন অবস্থায় প্রায়ই তাদের সেখানে থাকতে বাধ্য করা হয়। এতে তারা গ্রেপ্তার, আটক, দুর্ব্যবহার এবং নির্বাসনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে পরিচালিত অপরাধমূলক নেটওয়ার্কগুলো অভিবাসীদের প্রতারণামূলক নিয়োগের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। প্রায়ই ভুয়া প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ এবং অতিরিক্ত ফি দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা তথ্য পেয়েছেন দুই দেশের সরকারের কিছু উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ওই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ ধরনের কার্যক্রম অগ্রহণযোগ্য এবং শেষ হওয়া দরকার। এই শোষণমূলক নিয়োগের অপরাধীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। তারা উভয় দেশকে বিষয়টি তদন্ত করে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা বলেন, মালয়েশিয়াকে অবশ্যই পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে শ্রম অভিবাসনকে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে এর আগে তারা দুই দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
 
                
              
 
																 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    




































