ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অ্যাটক জেলা কারাগার থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট আদিয়ালা জেল সুপারকে ইমরান খানকে গ্রহণ করতে বললেও তাকে অ্যাটক জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী তখন অ্যাটক কারাগার থেকে উন্নতমানের সুবিধা সম্বলিত আদিয়ালা কারাগারের স্থানান্তর চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
আএইচসির বিচারপতি ফারুক ইমরান খানের স্থানান্তরের আবেদনের রায় সংরক্ষিত রেখে দাবি করেছিলেন যে তিনি এটির উপর ‘একটি উপযুক্ত আদেশ জারি করবেন’। কিন্তু শুনানির সময় বিচারক বলেন, “পিটিআই চেয়ারম্যানকে আদিয়ালা জেলে স্থানান্তর করুন”।
ইমরান খানের আইনজীবী বলেছেন যে তারা “অবশেষে আইএইচসি থেকে খান সাহেবকে অ্যাটক জেল থেকে আদিয়ালা জেলে স্থানান্তরের ন্যায়বিচার মঞ্জুর করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, এটি ‘সামান্য ন্যায়বিচার’ ছিল, তবে তিনি খুশি।
ইমরানের আইনজীবী বিচারপতি ফারুকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তিনি তারবার্তা মামলায় ইমরান খানের জামিনের আবেদনের উম্মুক্ত শুনানির আবেদন স্থগিত করার জন্য আদালতের প্রতি অসন্তুষ্ট।
অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে গঠিত বিশেষ আদালত নিখোঁজ তার বার্তা মামলায় ইমরান খানের গ্রেপ্তার-পরবর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। সাইফার বিতর্কটি প্রথম ২৭ শে মার্চ, ২০২২-এ উত্থাপিত হয়েছিল। যখন ইমরান খান ২০২২ সালের এপ্রিলে তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কয়েক দিন আগে একটি চিঠি দিয়ে দাবি করেছিলেন যে এটি একটি বিদেশী তার বার্তা ছিল।