• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে ‘রাফা ক্রসিং’ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৩, ০১:৫৬ পিএম
গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে ‘রাফা ক্রসিং’ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
মিশর ও গাজা সীমান্তের রাফা ক্রসিং পয়েন্ট। ছবি -সংগৃহীত

মিশরের সিনাই উপদ্বীপের রাফা ক্রসিং পয়েন্টের কাছে অসহায় ফিলিস্তিনিদের জন্য অনেক দেশ থেকে আসা ত্রাণ-সামগ্রী জমা করে রাখা হয়েছে। মিশর এবং গাজার সীমান্তে রয়েছে এই ‘রাফা ক্রসিং’ পয়েন্ট। এই ক্রসিং পয়েন্ট একসময় চালু ছিল। সঙ্কটকালীন এটি বন্ধ রয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট চুক্তির অভাবে সিনাই উপদ্বীপে জমে থাকা ত্রাণ ফিলিস্তিনবাসীদের জন্য এখনো পাঠানো সম্ভব হয়নি। ক্রসিংটি দিয়ে ত্রাণ পাঠানোর পাশাপাশি বিদেশি পাসপোর্টধারীদেরকেও গাজা থেকে বের করে আনা হবে বলে জানা গেছে।

কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সাময়িকভাবে মিশর-গাজা সীমান্তের রাফা ক্রসিংটি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো। সোমবার (১৬ অক্টোবর) রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

গাজায় সোমবার নবম দিনেও বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এছাড়াও গাজাকে ঘিরে কঠোর অবরোধ আরোপ করেছে দেশটি। খুব শিগগির সেখানে হামাসের বিরুদ্ধে স্থল হামলা শুরু করার কথা বলেছে ইসরায়েল কতৃপক্ষ ।

এদিকে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘রাফা ক্রসিং পয়েন্ট (সীমান্ত) আবারও খুলে দেওয়া হবে। আমরা জাতিসংঘ, মিশর, ইসরায়েল ও অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি প্রক্রিয়া তৈরি করছি, যার মাধ্যমে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যায়।’ তবে সীমান্তের এই ‘রাফা ক্রসিং’ কবে খোলা হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেননি তিনি।

ব্লিঙ্কেন জানান, অভিজ্ঞ মার্কিন কূটনীতিক ডেভিড স্যাটারফিল্ডকে রোববার মধ্যপ্রাচ্যের মানবিক সহায়তার বিষয়গুলো দেখভাল করার জন্য বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি সোমবার মিশরে পৌঁছে এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন করবেন।

এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় এই সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে। এবিসি নিউজ জানায়, সোমবার অল্প কয়েক ঘণ্টার জন্য এটি খুলে দেওয়া হবে। তবে রয়টার্স এসব তথ্য যাচাই করতে পারেনি।

গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের এক চতুর্থাংশ শিশু। প্রায় ১০ হাজার মানুষ আহত ও এক হাজারেরও বেশি নিখোঁজ আছেন।

মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা জানান, তারা গাজার মানবিক সংকটের সমাধানে সহায়তা দেবেন।

 ইসরায়েল আরোপিত অবরোধের কারণে গাজায় জ্বালানি, পানি ও খাবার পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে ইসরায়েলের এক মন্ত্রী রোববার জানান, দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জানিয়েছেন যে দক্ষিণ গাজার কিছু অংশে তিনি আবারও পানি সরবরাহ চালু করবেন। সূত্র-রয়টার্স।

 

Link copied!