ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি স্থাপনে উদ্যোগ নেবে চীন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৩, ০৯:৩৭ এএম
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি স্থাপনে উদ্যোগ নেবে চীন

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সফল মধ্যস্থতার পর এবার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব অবসানে এবং শান্তি আলোচনাকে এগিয়ে নিতে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী চীন। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ কথা বলেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং। পৃথক ফোনালাপে কিন দেশ দুটির শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, সোমবার পৃথক ফোনালাপে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেন। কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র প্রধান ভূমিকা রেখে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি এ ক্ষেত্রে চীন উদ্যোগী হয়েছে। এর মাধ্যমে চীন মূলত মধ্যপ্রাচ্যে নিজের কূটনৈতিক প্রভাব আরও বৃদ্ধির দিকে এগোচ্ছে বলেই ধারণা পাওয়া যায়।

ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকির সঙ্গে ফোনালাপে কিন বলেছেন, চীন চায় যত দ্রুত সম্ভব শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু হোক। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনকে শান্তি আলোচনা পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিতে উৎসাহ দিয়েছেন কিন গ্যাং। তিনি বলেছেন, এ উদ্যোগে চীন সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, উভয় দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে ফোনালাপে শান্তি আলোচনার জন্য দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে চীন।

দেশ দুটির মধ্যে যখন উত্তেজনা ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে ঠিক এ রকম এক সময়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ফোনালাপ করলেন। এ মাসের শুরুতে আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি পুলিশের তাণ্ডব ও সেটিকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় আরব বিশ্ব নিন্দা জানিয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গেও সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রত্যাশা করছে ইসরায়েল। অথচ সৌদি আরবও বলেছে, আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলের তাণ্ডব শান্তি আলোচনার ক্ষতিসাধন করেছে।

চলতি বছর মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাস ও ইহুদিদের পাসওভার অনুষ্ঠান একই মাসে পড়েছে। এর ফলে জেরুজালেমে পুণ্যার্থীদের আগমন বেড়ে যায়। এতে করে সংঘর্ষের আশঙ্কা বেড়েছে।

ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন বলেছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের বর্তমান উত্তেজনা নিয়ে উদ্বিগ্ন চীন। বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধি বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়া ঠেকানো।

গত মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইরানের দীর্ঘদিনের বৈরিতার অবসান হয়। দুই দেশের এই সম্পর্ক পুনঃস্থাপন মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি নিয়ে আসতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে সৌদি প্রতিনিধিদল। দীর্ঘদিন আরব বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে আগ্রহী হচ্ছে একাধিক দেশ।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!