• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আল-শিফা হাসপাতাল এখন কবরস্থান : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৩, ০২:১৭ পিএম
আল-শিফা হাসপাতাল এখন কবরস্থান : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ছবি: সংগৃহীত

গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফা এখন প্রায় ‘একটি কবরস্থান’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিবিসি এ তথ্য জানায়।

হাসপাতালগুলোর ভেতরে এবং বাইরে অনেক মরদেহ জড়ো করে রাখা হয়েছে। হাসপাতালটিকে কয়েকদিন ধরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে এবং ইসরায়েলি বাহিনীর সরাসরি হামলার শিকার হচ্ছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এর দাবি, হাসপাতালটির নিচে থাকা সুড়ঙ্গ থেকে হামাস একটি কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল কেন্দ্র পরিচালনা করছে। তবে ইসরায়েলি সেনাদের এ দাবি অস্বীকার করেছে হামাস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ক্রিস্টিয়ান লিন্ডমিয়ার বলেন, “হাসপাতালটিতে বর্তমানে ৬০০ এর বেশি মানুষ আটকে পড়েছেন। আরও অনেকে হলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। হাসপাতালের চত্তরসহ আশেপাশে অনেক মরদেহ পড়ে আছে। সেগুলো দাফন করা বা অন্য কোনো মর্গে সরিয়ে নেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।”

তিনি আরও বলেন, “হাসপাতালটির বর্তমানে যেভাবে কাজ করা দরকার এটি আর সেভাবে কাজ করতে পারছে না। এটা এখন প্রায় একটি কবরস্থান।”

চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন, হাসপাতালে জড়ো করে রাখা মরদেহগুলো পঁচতে শুরু করেছে।

আল-শিফা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মোহামেদ আবু  বিবিসিকে জানান, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনো পঁচতে থাকা মরদেহগুলো হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়ে দাফন করার অনুমতি দেয়নি। এর মধ্যে কুকুরগুলো হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ঢুকে মরদেহগুলো খেতে শুরু করেছে।

জ্বালানি ও বিদ্যুতের অভাবের কারণে কয়েক ডজন অপরিণত নবজাতককে ইনকিউবেটরে রাখা যাচ্ছে না। ফলে তাদের জীবন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। শঙ্কায় থাকা ওই শিশুদের মধ্যে সাত শিশু অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন সালমিয়া।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু’র প্রধান উপদেষ্টা মার্ক রেগেভ বলেন, “ইসরায়েল হাসপাতাল থেকে শিশুদের সরিয়ে নেয়ার “বাস্তবসম্মত সমাধান” দিয়েছে কিন্তু হামাস তাতে রাজি হচ্ছে না।”

জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও প্রয়োজনীয় সহায়তার কারণে আল-শিফাসহ গাজার অনেক হাসপাতাল তাদের সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। চলমান সংঘাত এবং ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার কারণে হাসপাতালগুলোতে কোনো সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না। সূত্র: বিবিসি

Link copied!