ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীকে দেশটির পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুরো ভারতজুড়ে বিক্ষোভ করছে তার কর্মী-সমর্থকরা।
সোমবার (২৭ মার্চ) দ্বিতীয় দিনের মতো দিল্লিতে কংগ্রেসের কয়েকশ নেতা রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন। হিমাচল, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং গুজরাট রাজ্যেও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দিল্লিতে বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা সংসদ চত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে যোগ দেন। গত সপ্তাহে রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণার পর থেকে তাদের মধ্যে অনেকেই সংসদের নিম্নকক্ষ- লোকসভার প্রথম অধিবেশনে কালো পোশাক পরেছিলেন।
পার্লামেন্টের ভেতরও বিক্ষোভ হয়েছে। এর ফলে দিনের বেলা বেশ কয়েক দফা অধিবেশন স্থগিত করা হয়। অধিবেশনের আগে কংগ্রেস এমপি প্রমোদ তিওয়ারি ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ভিন্নমতকে দমিয়ে রাখার জন্য অভিযোগ তোলেন।
তিওয়ারি বলেন, “যখন আমরা সংসদে কথা বলি, তারা তখন কার্যক্রম চালাতে দেয় না। আমরা যখন বাইরে কথা বলি, তারা দলের নেতাদের অযোগ্য ঘোষণা করে দেয়।”
রাহুল গান্ধী দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার ওয়ানাদ থেকে কংগ্রেস পার্টির এমপি ছিলেন। ৫২ বছর বয়সী এই নেতা নেহরু-গান্ধী পরিবারের সদস্য। এ পরিবার থেকে তিনজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে ভারত। দেশটির আগামী নির্বাচন যখন দরজায় কাড়া নাড়ছে, ঠিক তখনই রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণা করে লোকসভা।
মানহানির মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার এক দিনের মাথায় শুক্রবার (২৪ মার্চ) তাকে লোকসভায় অযোগ্য ঘোষণা করা হলো।
২০১৯ সালে একটি নির্বাচনি সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বংশীয় পদবি নিয়ে মন্তব্যের জন্য গুজরাটের একটি আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
রাহুল তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করলেও তার সমর্থকরা বলছেন, নেতার এই অযোগ্যতা ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার লক্ষণ।
রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রবিবার বলেছিলেন, তার ভাইকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে কারণ তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তবে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, সংসদীয় নিয়মেই বহিষ্কার হয়েছেন রাহুল। সূত্র: বিবিসি



































