ভারতের মণিপুর রাজ্যের বিষ্ণুপুর জেলায় জঙ্গি হামলায় বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাত দুইটার দিকে কাউয়াকটার কাছে জেলার উখা টামপাক গ্রামে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা হামলা চালায়।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, জঙ্গিদের বেপরোয়া গুলিতে বাবা-ছেলে ও পাশের ঘরের এক ব্যক্তি নিহত হন। এ সময় তারা নিরস্ত্র অবস্থায় নিজেদের বাড়িতে ছিলেন। তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ সূত্র আরও জানায়, দৃষ্কৃতকারীরা যখন গুলি চালায়, তখন তিনজনই ঘুমিয়ে ছিলেন। এই ঘটনা নিরাপত্তা বাহিনীকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। কারণ, হামলাকারীরা স্থানীয় প্রশাসন ঘোষিত পাহাড় ও উপত্যকার মধ্যবর্তী নিরাপদ অঞ্চলে ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
মণিপুর রাজ্য পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিষ্ণুপুরের তেরাখোঙ্গসাঙ্গবি এলাকায় অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিবিনিময় হয়। এ সময় ৩৫ বছর বয়সী এক নারী আহত হন।
পুলিশ জানায়, ওই নারীর নাম আরিবাম ওয়াহিদা বিবি। তার হাতে গুলি লেগেছে। ইম্পলের একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, একই দিন বিষ্ণুপুরের নারাসিনায় একদল দুষ্কৃতকারী ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের (আইআরবি) রাজ্যের সদর দপ্তরে ঢুকে বিপুল অস্ত্র লুট করে। ইম্পলের পশ্চিমে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ইম্পলের পশ্চিমে সেনজাম চিরাং এলাকায় অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীর একটি গুলি মাথায় লাগলে নিহত হন পুলিশ সদস্য। এ সময় এক গ্রামবাসীও আহত হন।
বিষ্ণুপুরের পৌগাকচাও ও কাঙ্গভাই এলাকায় সেনাবাহিনী ও আরএএফ সদস্যদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
বৃহস্পতিবার কুকি-জোমি সমাজের মানুষ হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ৩৫টি মরদেহ গণকবর দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে তারা কর্মসূচি স্থগিত করে।