• ঢাকা
  • শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩০, ১০ শা'বান ১৪৪৬

করোনা মহামারি: প্রতি তিনজনের একজন চাকরি হারিয়েছেন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২১, ১১:২২ এএম
করোনা মহামারি: প্রতি তিনজনের একজন চাকরি হারিয়েছেন

কোভিড ১৯ বিশ্বকে এক মন্থর অবস্থায় নিয়ে এসেছে। ২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া এর প্রকোপ পুরো বিশ্বের কর্মসংস্থানের ওপর এক ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। ‘করোনা মহামারির কারণে এই সময়ে বিশ্বে প্রতি তিনজনের একজন চাকরি বা ব্যবসা হারিয়েছেন’—এমনটাই উঠে এসেছে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জরিপ সংস্থা গ্যালাপের এক জরিপে। 

পুরো বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এরকম চাকরি বা ব্যবসা হারানো লোকের সংখ্যা ১০০ কোটিরও বেশি। ওই জরিপে আরো দেখা যায়, ২০১৯ সালে কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকা কর্মীর সংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ। যা ২০২০ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ২০ শতাংশে। অর্থাৎ ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা কর্মীর সংখ্যা ২ শতাংশ কমেছে ২০১৯ সালের তুলনায়। 

‘স্টেট অব দ্য গ্লোবাল ওয়ার্কপ্লেস ২০২১’ শীর্ষক এই শিরোনামে বিশ্বের ১১৬টি দেশের মানুষের ওপর এই সমীক্ষা চালিয়েছে গ্যালাপ। প্রতিদিনই উদ্বিগ্নতা, চাপ ক্রোধ ও দুঃখবোধ বাড়ছে বিশ্বব্যাপী কর্মীদের ওপর। সেই জরিপে দেখা যায়, বিভিন্ন সময়ে কর্মীরা আগের থেকে বেশি উদ্বিগ্ন, চাপ, ক্রোধ ও দুঃখবোধে ভুগছে। যেখানে বাংলাদেশে ২০২০ সালে ২০১৯ সালের তুলনায় অনেকগুণ বেড়েছে। 

  উদ্বিগ্নতা চাপ ক্রোধ দুঃখবোধ
বিশ্বব্যাপী ৪১% ৪৩% ২৪% ২৫%
বাংলাদেশ ৫০%  ৪১% ২৫% ৩৬%

করোনা ভাইরাসের কারণে এই কঠোর পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে কোটি কোটি শ্রমিককে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। বেড়ে যাচ্ছে হতাশা। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি, মৃত্যু, লকডাউন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ অবাক করার মতো নয় বলে বলছে ওয়াশিংটন-ভিত্তিক জরিপ প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ। 

গ্যালাপের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা এখনো চাকরি বা কাজে আছেন, তাদের অর্ধেকেরই আয় আগের চেয়ে কমে গেছে মহামারির এই সময়ে (২০২০ সালে)। ৫৩ শতাংশ কর্মী অস্থায়ীভাবে কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। ৪৯ শতাংশ কর্মীর কর্মক্ষেত্রে বা ব্যবসায় আগের চেয়ে কর্মঘণ্টা কমেছে। ৩২ শতাংশ কর্মী চাকরি বা তাদের ব্যবসা হারিয়েছেন। 

২০০৫ সাল থেকে এই জরিপ করে আসছে গ্যালাপ। তবে এবারে জরিপের পদ্ধতি অনেকটাই পাল্টেছে। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে, আগের প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি ব্যবহার করে জরিপ পরিচালনা করা নিরাপদ ও সম্ভব ছিল না। তাই মুখোমুখি প্রশ্ন না করে ফোনে বা অন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই জরিপ চালানো হয়। ১৫ ওপরের বয়সী মানুষের ওপর এই জরিপ চালানো হয়।

Link copied!