নাটকের শুটিং করতে গিয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ মডেল ও অভিনেত্রী শারমিন আঁখির (২৬) শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। শারমিন বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে শেখ হাসিনা বার্নের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বলেন, “শারমিন আঁখির শ্বাসনালীসহ শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার ইনহালেশন বার্ন রয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছে। তিনি পর্যবেক্ষণে আছেন। তার সব ধরনের চিকিৎসা চলছে। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক।”
গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পল্লবীর কালশি রোডে এপেক্স শোরুমের পাশে একটি বাসায় শুটিং করতে যান শারমিন। সেখানেই বিস্ফোরণে দগ্ধ হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
শারমিন আঁখির স্বামী নির্মাতা রাহাত কবির জানান, সেদিন আমি ওকে শুটিং হাউজে ড্রপ করে কাজে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ মনে হলো উপরে একটু ঘুরে যাই। আমি তখন পাশের ড্রয়িং রুমে সোপায় বসা ছিলাম। এরই মধ্যে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনি। ওই শুটিং স্পটে মেকআপ রুম ও বাথরুম একসঙ্গে ছিল। সেখানে তার চুল সোজা করার যন্ত্র বা হেয়ার স্ট্রেটনার দিয়ে কাজ চলছিল। এসময় বিস্ফোরণে বাথরুমের দরজা ভেঙে যায়।
রাহাত কবির আরও জানান, আঁখির পরনে সিনথেটিক কাপড় ছিল। তারপর দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে ভর্তি করা হয়। শুটিং স্পটটি ছিল একেবারেই নতুন। ওয়াশ রুমও নতুন ও রং ছিল কাঁচা। ওই বাথরুমে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয় বলে ধারণা তাদের। সেখান থেকেই শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লেগে যায়।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার মো. শাহাবুদ্দিনের মেয়ে শারমিন। পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের বাসায় স্বামীর সঙ্গে থাকতেন।