দেশের বেশির ভাগ শিল্পী নিজেদের মতো গান করছে বলে মন্তব্য করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
আঁখি আলমগীর বলেন, “সব কিছু ইন্টারনেট নির্ভর হওয়ার ফলে যে যার মতো করে গান শুনছে। আবার বেশির ভাগ শিল্পীও নিজেদের মতো গান করছে। এতে শিল্পীদের কতটা উপকার হচ্ছে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।”
এই জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আরও বলেন, “গান করলে চমৎকার কথামালা দিয়ে সাজানো গান করতে হবে, যেন শ্রোতা-দর্শকদের হৃদয়ে দাগ কাটে। সুর ও সংগীতায়োজনেও যত্নবান হতে হবে সবার। তবে সমালোচনাও হয়, এটা লক্ষ করি। সবাই সচেতনভাবে কাজ করলে এমনটা হবে না। যত্ন নিয়ে কাজ করলে মানুষ গানের প্রতি আগ্রহ দেখাবেই।”
বহির্বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সংগীত ও শ্রোতাদের মধ্যে পার্থক্য কেমন দেখেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে আঁখি আলমগীর বলেন, অনেক পার্থক্য। বহির্বিশ্বের শিল্পীরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা পান। শ্রোতারা উৎসব করে একজন শিল্পীর গান শোনেন নিজেদের উদ্যোগে। শিল্পীরা তো অবশ্যই গান গাওয়া ও তৈরিতে যত্নবান। বিদেশের শিল্পীরা আর্থিকভাবেও সচ্ছল। তাদের মূল শক্তি শ্রোতা। শ্রোতারা অনেক দায়বদ্ধতা দেখায় তাদের প্রিয় শিল্পীর জন্য। আমাদের দেশেও এ দায়বোধ দেখা যায়, তবে এটি পরিমাণে কম। সব কিছু ইন্টারনেটনির্ভর হওয়ার ফলে যে যার মতো করে গান শুনছে। এতে শিল্পীদের কতটা উপকার হচ্ছে, এটাই প্রশ্ন।”
গানের ভিউ ভাবায় কিনা এমন প্রশ্নে এই সংগীতশিল্পী বলেন, “একটি ভালো মিউজিক ভিডিওর ভিউয়ার্স থাকবেই। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি কিংবা হৈ-হুল্লোড় করার কিছু নেই। আমি এ নিয়ে ভাবি না। আমার গান যদি ভালো হয় মানুষ শুনবেন এবং আমাকে স্টেজে গাইতে অনুরোধ করবেন।”
আপনার মতামত লিখুন :