আজ ১৫ নভেম্বর। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম প্রয়াণ দিবস। ২০২০ সালের আজকের দিনে এক মহাকাব্যিক জীবনের অবসান ঘটিয়ে অনন্তের পথে পাড়ি জমান এই কালজয়ী অভিনেতা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
সৌমিত্র ছিলেন বাঙালির আন্তর্জাতিক তারকা। অভিনয় করেছেন, লিখেছেন, আবৃতি করেছেন। সময়ের ধুলো যেন তার আভিজাত্যের সৌন্দর্য স্পর্শ করেনি কখনো। তিনি যেন এক আশ্চর্য নাগরিক উপন্যাস।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ব্যপ্তি শুধু সিনেমাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। নাটক ও কবিতার জগতেও ছিল তার অবাধ, সাবলীল বিচরণ। তার প্রথম নাটক মুখোশ ১৯৫৬ সালে দিল্লির বিভিন্ন কলেজের মধ্যে নাটক প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিল। সৌমিত্র অভিনীত নাটক গুলোর মধ্যে টিকটিকি, আত্মকথা, লিয়ার, হোমাপাখি উল্লেখযোগ্য। আবৃত্তিকার ও কবি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও সমান ভাবে সমাদৃত বাঙালি মানসে।
সিনেমায় প্রবেশ সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে। প্রথম ছবি অপুর সংসার। এই ছবি ভারতের চলচ্চিত্র জগতে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। আজও উদাস করে দেয় সৌমিত্র ও শর্মিলার রোমান্টিক দৃশ্যায়ন। এছাড়া তার সাথে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ববিতা। ‘অশনি সংকেত’ নামের ছবিটি এখনও আমাদের জীবনে নতুন পাতার সবুজ উপহার দেয়।
প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ভূষিত হয়েছেন ফ্রান্স সরকারের শিল্পের সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অব আর্টস এন্ড লেটার্স’ খেতাবে। ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ সম্মান প্রদান করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে পেয়েছন বঙ্গবিভূষণ। ২০১২ সালে পেয়েছেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে।