• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

১০তম মেধা তালিকা প্রকাশ করার পরও শিক্ষার্থী সংকটে জবি


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২২, ০৯:১৮ পিএম
১০তম মেধা তালিকা প্রকাশ করার পরও শিক্ষার্থী সংকটে জবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ১০তম মেধাতালিকা প্রকাশের পরও ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে (স্নাতক) সম্মান ও বিবিএ প্রথমবর্ষে এইবারে প্রথম শিক্ষার্থী পেতে বিলম্ব হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু করতে না পারার মূল কারণ হচ্ছে ভর্তি কার্যক্রম এখনো চলমান এবং ফাঁকা আসনে শিক্ষার্থী পাচ্ছে না।  

জানা যায়, গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের ১৭ অক্টোবর বিজ্ঞান (এ) ইউনিটের, ২৪ অক্টোবর মানবিক (বি) ইউনিটের ও পহেলা নভেম্বর বাণিজ্য (সি) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে ২০ অক্টোবর বিজ্ঞান (এ) ইউনিটের ফলাফল, ২৬ অক্টোবর মানবিক (বি) ইউনিটের ফলাফল এবং সর্বশেষ ৩ নভেম্বর বাণিজ্য (সি) ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়।

গুচ্ছভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফলাফল প্রকাশিত হবার পর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জবিতে ভর্তির জন্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেদন শুরু হয় গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে। আবেদন চলে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত।

এরপর গত (৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সপ্তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিজ্ঞান (এ) ইউনিটে ২৩ হাজার ৯৫৫ জন, মানবিক (বি) ইউনিটে ৯ হাজার ৯৪০ জন এবং বাণিজ্য (সি) ইউনিটে সাত হাজার ৭৬২ জন ভর্তিচ্ছু আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়।

পরের দিন (৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের নির্ধারিত আসনে ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়ায় পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে মোট সাতটি মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে এতেও নির্ধারিত আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীদের তেমন কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে ফাঁকা আসন পূরণে গত ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি গণসাক্ষাৎকার আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথম থেকে সপ্তম মেধাক্রমে বিষয় বরাদ্দ পেয়েও যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হননি তাদেরও সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। তবে গণসাক্ষাৎকারেও শিক্ষার্থীদের তেমন উপস্থিতি না মেলায় পরবর্তীতে আরও একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত হয় ৮ মার্চ থেকে প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করার।

তবে ক্লাস শুরু করার আগেই ফাঁকা থাকা আসন পূরণে (মঙ্গলবার) পহেলা মার্চ আবারও গণসাক্ষাৎকার আহ্বান করেছে কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞান (এ) ইউনিটে সাত হাজার ৬৫২ থেকে ১২ হাজার মেধাক্রম পর্যন্ত এবং মানবিক (বি) ইউনিটে দুই হাজার ৫১৭ থেকে ৩ হাজার ৫০০ মেধাক্রম পর্যন্ত সাক্ষাৎকার আহ্বান করেছে কর্তৃপক্ষ। আগামী বৃহস্পতিবার (৩মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ওই সাক্ষাৎকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী বলেন, এবার প্রথমবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী না পাওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হল করোনা ভাইরাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করোনাকালীন বন্ধের সময়েও শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে৷ ফলে অনেক শিক্ষার্থী তাদের সময় বাঁচানোর জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়েছে৷ এতে করে এখন শিক্ষার্থীদের কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের এই সংকটের পেছনে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কোন কারণ রয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সময় ও অর্থ লাঘব হয়েছে। অন্যান্য বছর শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ ছিলো না। তাই এক্ষেত্রে গুচ্ছের কোন ভূমিকা নেই।

Link copied!