বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধন সনদধারীদের গণবিজ্ঞপ্তিতে নয়, প্যানেলভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে আমরণ অনশন পালন করছেন প্যানেল প্রত্যাশীরা।
বুধবার (৯ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধন শিক্ষক’ সংগঠন থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। অনশনে সারাদেশ থেকে আসা প্যানেল প্রত্যাশীরা অংশ নিয়েছেন।
কর্মসূচিতে প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি মো. আমির হোসেন বলেন, “এনটিআরসিএ বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ফরম পূরণের উদ্দেশ্যে হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে যাচ্ছে। এছাড়া অনেক প্রার্থীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়ার অভিযোগও আছে। আমরা এনটিআরসির নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে দেব না। দাবি আদায়ে যা যা করা দরকার, সবই করব।”
বক্তারা বলেন, শিক্ষক নিবন্ধন সনদ চাকরির সনদ, একাডেমিক সনদ নয়। শিক্ষকতা ছাড়া এ সনদ কোনো কাজে আসবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে অর্জিত শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতার সনদ-শিক্ষক নিবন্ধন সনদ। তাই সনদ যার, চাকরি তার। সরকারের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে প্যানেলভিত্তিক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষক সমাজকে অভিশাপমুক্ত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সময়ের দাবি।
অনশনে প্যানেল প্রত্যাশীরা দাবি করেন, সব নিবন্ধনধারীর নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে এবং ইনডেক্সধারীদের গণবিজ্ঞপ্তির অন্তর্ভুক্ত না করে আলাদা বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।
অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা বলেন, আমরা শুধু কম নম্বরধারীর জন্য প্যানেল চাচ্ছি না। কারো স্কুল পর্যায়ে মার্ক কম, আবার কলেজ পর্যায়ে মার্ক বেশি। কারো একটি নিবন্ধনে মার্ক কম, কিন্তু অন্যটিতে বেশি। কারো তো একাধিক পদে চাকরির সুযোগ নেই। আমরা সকলের অধিকার ফিরে পেতে এবং কৃত্রিম শিক্ষক সংকট দূরীকরণে প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের দাবি করছি। এতে ১-১৬তমসহ সকল নিবন্ধনধারী লাভবান হবে।”
শিক্ষকরা বলেন, ৬৪ জেলা থেকে আমরা অনশনে এসেছি। আমরা প্যানেলভিত্তিক নিয়োগ চাই। আমরা নিবন্ধনের সনদ অর্জন করলেও শিক্ষকতা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। পরিপত্র অনুযায়ী, এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। নিয়োগের দাবিতে বারবার আন্দোলন করলেও তা মানা হয়নি। তাই আমরা অনশনে নেমেছি। আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন ছাড়ব না।