চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১৩ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১২টার পর শাখা ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক সংগঠন বিজয় ও সিএফসির মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। বিবাদমান দুই পক্ষই শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। আহতরা চবি মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। বর্তমানে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু এবং উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ নাজমুল। তাদের উপস্থিতে আগামী ২৫ জানুয়ারির আগে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার ঘোষণা দেন চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু। এরপরই উত্তেজনা শুরু হয়।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সিএফসি পক্ষের নেতা রেজাউল হক রুবেল বলেন, "চবি ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মোহাম্মদ ইলিয়াস (বিজয় পক্ষের নেতা) দীর্ঘদিন ধরে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। আর সেই সূত্র ধরেই এই সংঘর্ষ।"
চবি ছাত্রলীগের বিজয় পক্ষের নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, "পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দেওয়ার অজুহাত এটি। তারাই হামলা চালিয়েছে। বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।"
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, "ছাত্রদের হলে ঢুকিয়ে দিয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন হয়েছে।"