ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় একই বিভাগের শিক্ষক মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকীর তিন বছরের জন্য পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য জানান, সাজ্জাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ওই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাই তার বিরুদ্ধে তিন বছরের পদোন্নতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটে গৃহীত হয়েছে। ফলে তার অধ্যাপক হওয়ার সময়সীমা পূর্ণ হওয়ার পরে, অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেতে আরও তিন বছর পর অপেক্ষা করতে হবে।
ওই সিন্ডিকেট সদস্য আরও বলেন, এর আগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠলে সেটি অনুষদে কমিটি করে বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতনবিরোধী সেলে পাঠানো হয়। পরে যৌন নির্যাতনবিরোধী সেল তিন বছরের পদোন্নতি স্থগিত ও পদাবনতির সুপারিশ করলে সিন্ডিকেট তিন বছর পদোন্নতি স্থগিতের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে।
২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে উপাচার্যের কাছে যৌন হয়রানির অভিযোগ দেন একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী। লিখিত অভিযোগের কপি ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবরও পাঠান তিনি।
পরে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের তৎকালীন ডিন ড. সাদেকা হালিমকে আহ্বায়ক করে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন আহমদ, বিভাগের তৎকালীন শিক্ষার্থী উপদেষ্টাসহ কয়েকজন নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অভিযোগ তদন্ত করে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলে প্রতিবেদন জমা দেন। সেল বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে তার বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করে।