স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদই কাল হলো গার্মেন্টস কর্মী সাথীর জীবনে। সাবেক স্বামীর দেওয়া এসিডে ঝলসে গেছে সাথী আক্তারের (১৯) মুখ ও হাত। এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাত সোয়া ২টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ঝলসে যাওয়া মুখ ও হাতের যন্ত্রণায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন সাথী।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী সাথী আক্তার মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের কাটাখালী ফেরাজীপাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের মেয়ে।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের নতুন ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় নারী সার্জারি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় এমিই চিত্র। এ ওয়ার্ডের ১৯ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন সাথী। এসিডে ঝলসে গেছে তার মুখ ও দুটি হাত। অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী সাথীর মা জুলেখা বেগম বলেন, “মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে নাঈমের সঙ্গে দুই বছর আগে বিয়ে হয় সাথীর। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য সাথীকে চাপ দিয়ে অত্যাচার শুরু করে নাঈম। মেয়ের জামাই একজন বখাটে ও নেশাখোর হওয়ায় সংসার বিচ্ছেদ করা হয়।
এরপর থেকেই রাস্তাঘাটে মেয়েকে বিরক্ত করতে শুরু করে নাঈম। তার সঙ্গে সংসার না করলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় নাঈম।”
এর জের ধরেই শুক্রবার মধ্যরাতে ঘরের ভাঙ্গা জানালা দিয়ে তার মেয়ের মুখে এসিড মেরে হাত-মুখ ঝলছে দেয় নাঈম। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তুমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আাবাসিক চিকিৎসক কাজী একেএম রাসেল বলেন, “দাহ্য পদার্থে সাথীর হাত-মুখ ঝলসে গেছে। তাকে সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
এখানে তার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, “এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।”
এ ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।