• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের লোহা পাচারের সময় আটক ৫


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২১, ০১:১১ পিএম
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের লোহা পাচারের সময় আটক ৫

পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ভেতর থেকে বাইরে বের হওয়ার সময় একটি ট্রাকসহ প্রায় ১০ মেট্রিক টন লোহা (রড ও পাইপ) জব্দ করা হয়েছে।

এ সময়ে পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) ঈশ্বরদীর পাকশীতে রূপপুর প্রকল্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যের সহযোগিতায় তাদের আটক করা হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান আসাদ লোহাসহ একটি ট্রাক জব্দ ও পাঁচজনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রূপপুর মোড়ের মৃত হাসেম আলীর ছেলে মিরাজ আলী (৩৪), লক্ষ্মীকুণ্ডা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে রুবেল ইসলাম রাজন (৩৭), ঠাকুরগাঁও জেলার আরাজী মাটিগাড়া গ্রামের মির্জা বেলাল হোসেনের ছেলে মাজহারুল ইসলাম সাদ্দাম (২৮), ঈশ্বরদীর বাঘইল স্কুলপাড়ার নুর মস্তফার ছেলে কামরুল হাসান রাসেল (৩৭) ও নাটোরের বনপাড়ার বাহিমালি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে আবুল কালাম (৩৮)।

সোমবার রাতে রূপপুর পুলিশ ফাঁড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের ঈশ্বরদী থানায় নেওয়া হয়েছে।

রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়, রূপপুর প্রকল্পের ভেতর থেকে গেট দিয়ে বাইরে বের হয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একটি ট্রাকসহ প্রায় ১০ মেট্রিক টন লোহা আটক করে। এ সময় ট্রাকচালকের কাছে প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজপত্র দেখতে চান তারা। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ট্রাকচালক আবুল কালাম আজাদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে জড়িত আরও চারজনের নাম প্রকাশ করেন তিনি। অন্যরা সে সময় রূপপুর প্রকল্প এলাকায় ছিলেন। পরে বাকি চারজনকে আটক করা হয়। আনুমানিক ১০টার দিকে রূপপুর পুলিশ ফাঁড়িতে ট্রাক, লোহাসহ পাঁচ ব্যক্তিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্তোষজনক জবাব ও লোহার বৈধ কাগজপত্র পায়নি। এ অবস্থায় রাত ১২টার দিকে পাকশীর রূপপুর ফাঁড়ি থেকে আটক ব্যক্তিদের জনকে ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ হাজতে নেওয়া হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, “আমরা শুনেছি অবৈধভাবে, কোনো কাগজপত্র ছাড়াই ট্রাকে করে তারা লোহাগুলো গোপনে রূপপুর প্রকল্পের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালান। এর মধ্যে লোহার রড ও কিছু পাইপ রয়েছে। সব মিলিয়ে মালামাল সাড়ে ৯ মেট্রিক টনের কিছুটা বেশি হবে।”

ওসি আসাদুজ্জামান আরও বলেন, “রূপপুর প্রকল্প দেশের একটি বৃহৎ উন্নয়নমূলক প্রকল্প। এর সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এখানে সার্বক্ষণিক সেনাসদস্য, বিজিবি, পুলিশ, আনসার রয়েছে। এ অবস্থায় প্রকল্পের ভেতর থেকে অবৈধভাবে লোহা নিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যদের সন্দেহ হয়। পরে তারা ট্রাকবোঝাই লোহাসহ পাঁচজনকে আটক করে আমাদের হস্তান্তর করেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। আটক ব্যক্তিরা এখনো কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। কাগজপত্র, ট্রাকের চালানসহ প্রয়োজনীয় অনুমোদন না দিতে পারলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Link copied!