বিশুদ্ধ পানির সংকট সমাধানে ১৫ বছর ধরে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে রান্নাবান্না ও গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করছেন মানিকগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন কচি (৭০)।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম দশড়া এলাকায় তার নিজ বসায় ঘরের টিনের চাল থেকে বৃষ্টি সংরক্ষণ করেন। প্রথম দিকে প্লাস্টিকের ড্রাম, কলসি ও বোতলে এ পানি সংগ্রহ করতেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করার জন্য তার বাসায় দুই হাজার লিটারের একটি ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে, যা বর্ষা মৌসুম ও বিভিন্ন সময়ে টিনের চাল থেকে বৃষ্টির পানি ধরে ফিল্টার করে, সারা বছরের জন্য মজবুত করে রাখেন। রান্নাবান্নাসহ গৃহস্থালির কাজে সারা বছর এ পানি ব্যবহার করেন তিনি।
এ বিষয়ে ইকবাল হোসেন কচি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “১৫ বছর ধরে আমি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করছি। চা-পান ও রান্নাবান্নার কাজসহ বিভিন্ন কাজে এই পানি ব্যবহার করি। বৃষ্টির পানিতে কোনো আর্সেনিক থাকে না। বৃষ্টির পানি দিয়ে রান্না করা খাবারের স্বাদ অনেক বেশি।”
ইকবাল হোসেন আরও বলেন, “পৌরসভার সাপ্লাইয়ের পানিতে জীবাণু থাকে। টিউবওয়েলের পানি দিয়ে রান্না করলে ভাত, ডাল কালচে রং ধারণ করে, ডাল সিদ্ধ হতে চায় না। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে ডাল সহজে সিদ্ধ হয়। এ পানিতে রান্না করা ভাত এক বেলা থেকে অন্যবেলায় খাওয়া যায়, খাবার দ্রুত সময়ে নষ্ট হয়ে যায় না।”
সংবাদ প্রকাশ’কে তিনি আরও বলেন, “নগর জীবনে পানিসংকটের সমস্যা সমাধানের জন্য বৃষ্টির পানিকে বিকল্প হিসেবে ভাবা দরকার। গ্রাম ও নগর জীবনে বিশুদ্ধ পানি হিসেবে বৃষ্টির পানির কোনো বিকল্প নেই।”