এমপিওভুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকালের দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের ব্যানারে তারা আন্দোলন করেন।
সংগঠনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ বলেন, “দীর্ঘ ২৯ বছর থেকে পেশাগত দাবি আদায়ের জন্য অনেক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার পরেও অদ্যবধি আমরা সরকারি বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছি।”
বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের মাধ্যমে শিক্ষা সেক্টরে অনেক বৈষম্য কমেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
হারুন-অর-রশিদ বলেন আরও বলেন, “অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, উচ্চ শিক্ষাদানে নিয়োজিত সারা দেশের মাত্র সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক এখনো এমপিওভুক্তির বাইরে রয়েছেন।”
দাবি না মানা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, “প্রধানমন্ত্রী জনননেত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনার মাধ্যমে প্রচলিত জনবল কাঠামো সংশোধন করে এমপিওভুক্তি চাই, বেঁচে থাকার সুযোগ চাই।”
প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কলেজ কর্তৃপক্ষ তা দিচ্ছে না উল্লেখ করে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, “বেসরকারি কলেজসমূহে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত সারা দেশের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষককে দীর্ঘ ২৯ বছর থেকে এমপিওভুক্তির বাইরে রাখা হয়েছে।”
অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা এনটিআরসিএ সনদধারী হয়েও জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারছেন না, যা চরম বৈষম্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন মোস্তফা কামাল।
শিক্ষকদের এই আন্দোলন সম্পূর্ণ অযৌক্তিক উল্লেখ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি অনার্স ক্লাসের শিক্ষক নিয়োগ প্রদানকালে শর্তই থাকে যে নিয়োগকৃত এসব শিক্ষকদের বেতন ভাতা প্রচলিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রদান করবে। তারপরও বেতন-ভাতা? তাদের আন্দোলন করা অযৌক্তিক।”