• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আজ আত্রাই হানাদারমুক্ত দিবস


আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২১, ০১:৪৫ পিএম
আজ আত্রাই হানাদারমুক্ত দিবস

আজ ১৪ ডিসেম্বর আত্রাইবাসীর জন্য একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে নওগাঁর আত্রাই উপজেলা পাক হানাদারমুক্ত হয়। স্বাধীনতার সংগ্রামে সাড়া দিয়ে সারা দেশের মতো আত্রাইয়ে মুক্তিযোদ্ধারা মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে হাজার হাজার মুক্তিকামী বাঙালি।

এই এলাকা পাক হানাদারমুক্ত করতে কত মানুষ শহীদ হয়েছে এবং কতো মা বোনের ইজ্জত হারাতে হয়েছিল তার সঠিক পরিসংখ্যান কেউ জানে না।এছাড়াও পঙ্গুত্বের অভিশাপ আর মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন হারানোর অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে এখনও অনেক নারী-পুরুষ বেঁচে আছেন। স্বাধীনতার এত বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ তাদের খোঁজ-খবর রাখেনি।

আত্রাই উপজেলার বান্দাইখাড়া, পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন, পাইকড়া, গোয়ালবাড়ীতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরাপরাধ কৃষক-শ্রমিক এবং চাকরিজীবীদের হত্যা করে তাদের গণকবর দেয়। সেসব স্থান আজ‌ও স্বাক্ষী হয়ে রয়েছে।

সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ওহিদুর রহমান বলেন, “সেই সময় চলাচলের ব্যবস্থা ভালো না থাকায় রেলপথই ছিল সুবিধাজনক বাহন। তাই আমরা বুদ্ধি করে ৭১ সালের ৬ সেপ্টেম্বরে আত্রাই-সান্তাহার সাহাগোলার রেল ব্রিজটি ধ্বংস করে দিই। নাটোর থেকে পাক-বাহিনীর সেনা বহনকারী একটি স্পেশাল ট্রেন রাতে লাইট বন্ধ করে ওই ভাঙা ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনটি ওই ব্রিজের নিচে পড়ে যায়। এতে করে পানিতে ডুবে অনেক পাক-সেনা নিহত হয়। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় জয় ছিল।”

ওহিদুর রহমান বলেন, “পাক-বাহিনীরা যুদ্ধে আমাদের সঙ্গে না পেরে নাটোরের দিকে পালিয়ে যায়। পরে মুজিব বাহিনী ও মুক্তিকামী জনতা রাত দুইটায় প্রথমে থানায় পদার্পণ করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। আর আমরা এভাবেই অনেকটা কম পরিশ্রম ও কম হানাহানির মাধ্যমে ১৪ ডিসেম্বর আত্রাই উপজেলাকে হানাদারমুক্ত করি।” 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকতেখারুল ইসলাম জানান, ১৪ ডিসেম্বর আত্রাই হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে।

Link copied!