কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনার তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মালবাহী ট্রেনের চালক, সহকারী চালক ও পরিচালককে (গার্ড) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব জংশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এঘটনায় ২৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনের নিচে এখনো মানুষ চাপা পড়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলোতে অনেকেই আহত অবস্থায় পড়ে আছে। ফায়ার সার্ভিস ও জেলা প্রশাসনের সদস্যরা হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করছেন।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত এ পর্যন্ত ৭০ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। ২১ জনকে ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলিম হোসেন শিকদার জানান, ঢাকা থেকে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন ভৈরব স্টেশনে ঢুকছিল। তার আগ মুহূর্তে ভৈরব থেকে এগারসিন্দুর ট্রেনটি ঢাকার দিকে রওনা হয়। জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় এগারসিন্দুর ট্রেনের শেষের দুই-তিনটি বগিতে কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন আঘাত করে। মূলত সিগনালের কোনো জটিলতার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    




































