গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে রাঙ্গামাটির প্রধান আকর্ষণ ঝুলন্ত ব্রিজ। ব্রিজটি ডুবে যাওয়ায় আবারও ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কা ব্যবসায়ী ও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের।
হ্রদের পানি সেতুর পাটাতন থেকে ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি ওপরে উঠে গেছে। পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সর্তকতামূলক লাল নিশানা ও নিষেধাজ্ঞা টাঙিয়ে দিয়েছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
পর্যটন বোট ঘাটের ইজারদার রমজান আলী জানান, প্রতি বছর লেকের পানি বাড়লে ব্রিজটি পানিতে ডুবে যায়। এতে করে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পানি না কমলে আয় আরও কমবে বলেও জানান তিনি।
রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক সেতুটি দেখতে রাঙ্গামাটি বেড়াতে আসেন। এখন লেকের পানি বেড়ে যাওয়ায় কারণে ব্রিজে পানি উঠে গেছে। যার কারণে পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ব্রিজে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে পানি কমে এলে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। এই বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
১৯৮৩ সালে সেতুটি নির্মাণ করে পর্যটন কর্পোরেশন। পরে সেতুটি আরও উচুঁ স্থানে স্থানান্তরের কথা বলা হলেও তা হয়নি।
কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজাহের জানান, বর্তমানে হ্রদে ১০৫.৬৬ ফুট পানি রয়েছে। এটি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। পানির লেভেল ১০৭ ফুট হলে পানি ছাড়ার কথা চিন্তা করা হবে।বর্তমানে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। হ্রদে পানি বাড়লে উৎপাদন আরও বাড়বে।
১৯৬০ সালে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে নির্মাণ করা হয় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র।