টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনার ভাঙনে দিশেহারা নদীপাড়ের মানুষ। বসতভিটা-ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে শত শত পরিবার। অব্যাহত ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নানা স্থাপনাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এমন অবস্থায় ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলাসহ স্থায়ী বাঁধের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে নদীপাড়ের মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে দুপুর প্রায় ১টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন উত্তর পাটিতাপাড়া ভাঙনের শিকার লোকজন।
মানববন্ধনের কারণে আঞ্চলিক মহাসড়কের দেড় থেকে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তার আশ্বাসে নদীপাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ অবরোধ সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বৃদ্ধা লাভলী বেগম বলেন, “বর্ষাকালে আমাদের ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনের সময় অনেকেই ভাঙন দেখতে আসে আর আশ্বাস দিয়ে যায়। তারা আমাদের খোঁজখবরও রাখে না। তাই আমরা বসতবাড়ি রক্ষায় বাধ্য হয়ে নদী ভাঙনে সড়ক অবরোধে রাস্তায় নেমেছি।”
ভাঙনের শিকার হাসেম মুন্সী ও রাজীব মিয়াসহ অনেকেই বলেন, “নিকরাইল ইউনিয়নের উত্তর পাটিতাপাড়ার আশপাশে ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ফেলা হলেও আমাদের অংশে না ফেলায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এখন আমরা ত্রাণসহায়তা বা কোনো আশ্বাস চাই না। আমরা চাই স্থায়ী বাঁধ।”
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, “সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে মাটিকাটা মোড়ে অবরোধস্থলে যাই এবং ভাঙন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করি। দ্রুত জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের আশ্বাস দিলে ভাঙনকবলিতরা অবরোধ তুলে নেয়। দু-এক দিনের মধ্যে জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু হবে।”