• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নাটোরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম, থমথমে শহর


নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩, ১০:৪৪ এএম
নাটোরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম, থমথমে শহর

নাটোরে ট্রাক ও ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ কর্মী নাজমুল শেখ বাপ্পীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনার পর থেকে শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের জয় বাংলার মোড়ে রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর অবস্থায় বাপ্পীকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তির পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বাপ্পী নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের অনুসারী বলে পরিচিত।

এদিকে ঘটনার পর এমপি শিমুলের অনুসারীরা নাটোর শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন। এ সময় তারা লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে শহরে শোডাউন দেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার আগে থেকেই সাব–রেজিস্ট্রি অফিসে অবস্থান করছিলেন নাজমুল শেখ বাপ্পী। সন্ধ্যার পর রেজিস্ট্রি অফিস থেকে বের হওয়ার সময় তাকে ঘিরে ধরে ৫–৬ জন যুবক। এরপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাপ্পীকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করেন তারা। বাপ্পীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। স্থানীয়রা তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এদিকে রাত ৯টার দিকে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন এমপি শিমুলের অনুসারীরা। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির নেতা রাশেদুল ইসলাম কোয়েল ও গোলাম কিবরিয়া সেলিম।

নাজমুল শেখ বাপ্পীর ভাই জেলা ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি গোলাম রাব্বানী অভিযোগ করেন, তার ভাই এমপি শিমুলের সঙ্গে রাজনীতি করেন। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানের লোকেরা বাপ্পীর ওপর হামলা চালিয়েছে।

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, “বাপ্পী একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, দীর্ঘদিন জেলও খেটেছে। সাব–রেজিস্ট্রি অফিসে চাঁদা তোলা নিয়ে স্থানীয় জুনিয়র ছেলেদের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত নয়।”

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ জানান, হামলাকারীদের খুঁজতে পুলিশ মাঠে নেমেছে।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ইনচার্জ (ডিআইও–১) কাজী জালাল উদ্দীন আহমেদ জানান, শহরে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।

Link copied!