বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় হাসিবুল ইসলাম (১৪) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার (২২ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের শিংড়াবুনিয়া এলাকার বিষখালী নদীর পাশ থেকে হাসিবুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আবদুল্লাহ আল নোমান ওরফে তানভীর ওরফে শিশু ফকিরসহ (১৯) নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
হাসিবুল ইসলাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরঘাটা এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে। সে পাথরঘাটা সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হাসিবুল তার বাবার দোকানে বসা ছিল। এ সময় আবদুল্লাহ আল নোমান এসে হাসিবুলকে ঘুমের ওষুধ মেশানো সেভেনআপ খেতে দেন। এরপর তাকে পূজায় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে পাথরঘাটা পৌরসভার ঈমান আলী সড়কের একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে রাতে তারা একসঙ্গে ঘুমান। পরদিন শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে হাসিবুল স্বাভাবিক না হওয়ায় তাকে রশি দিয়ে বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভিডিও করা হয়। সেই ভিডিও হাসিবুলের পরিবারের কাছে পাঠিয়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এর কিছুক্ষণ পর মারা যায় হাসিবুল। পরে সেখানে মরদেহ রেখে নোমান শ্বশুরবাড়ি চলে যান। রোববার আবার সেই বাসায় গিয়ে মরদেহ ড্রামের ভেতর ঢুকিয়ে অটোরিকশায় করে কাটাখালী এলাকায় নিয়ে নদীর পাশে ফেলে দেন।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, নোমানসহ তার বাবা মহিউদ্দিন, শ্বশুর ইউনুস, স্ত্রী তাহিরা, শাশুড়ি রাহিমা, সম্বন্ধী আব্দুর রহমান, অটোরিকশাচালক আব্দুর রহমান, স্থানীয় জসিমসহ নয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নোমানের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।