ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় রুমা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ রাস্তায় ফেলে তার স্বামী পালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পাতরাইল দক্ষিণ দিঘিরপাড় এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার (২৭ আগস্ট) ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফরিদপুরের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত রুমা বেগম উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পাতরাইল দিঘিরপাড় গ্রামের মো. টোকন মাতুব্বরের স্ত্রী ও মাদারীপুরের রাজৈর উত্তর চাঁনপুট্টি গ্রামের প্রয়াত কুদ্দুস মাতুব্বরের মেয়ে।
নিহত রুমার পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার সকালে রুমার স্বামী টোকন মাতুব্বরের ভাগনে হৃদয় মিয়ার মোবাইল থেকে তাদের জানানো হয়, রুমা আত্মহত্যা করেছেন। এরপর রুমার স্বামী টোকনকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ঢাকার আব্দুল্লাহবাদ বাড্ডায় রুমার ভাড়া বাসায় খোঁজাখুঁজি করেন তারা।
এক পর্যায়ে, অপরিচিত একটি ফোন থেকে রুমার মামা বাবুলকে জানানো হয়, রুমার লাশ এখন ভাঙ্গায় আছে। তাকে রাস্তার উপরে রাখা হয়েছে, সেখানে গিয়ে লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। তারপর ভাঙ্গায় রুমার শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। পথে তারা দেখেন একটি ব্রিজের ওপর স্টিলের খাটে চাদর দিয়ে ঢাকা রয়েছে রুমার লাশ। সেখানে রুমার লাশটি একাই পড়ে ছিলো। এরপর পুলিশকে জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ধ্যায় মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
রুমার মা ও ছোট বোন জানায়, রুমা তাঁর স্বামী ও তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে ঢাকার বাড্ডায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। এক বছর আগে টোকন কাউকে না জানিয়ে ঢাকায় আরেকটি বিয়ে করেন। কিছুদিন পর তাকে ডিভোর্স দেন টোকন। সম্প্রতি সেই মেয়ের সঙ্গে টোকনের গোপনে যোগাযোগ চলছিল। এ নিয়ে রুমার সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো এবং টাকা-পয়সা চেয়েও রুমাকে নির্যাতন করতেন টোকন।
রুমার মামা বাবুল হোসেন জানান, তার ভাগ্নির বাম হাত ও পা ভাঙা ছিলো। মুখে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তিনিসহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে সন্ধ্যার পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।