কুমিল্লায় ১৩ বছর আগে যৌতুকের দাবিতে এক নারীকে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন মঙ্গলবার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুর রবের বাড়ি নাঙ্গলকোট উপজেলার বাম বাতাবাড়িয়া গ্রামে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ওই গ্রামের আবদুর রবের সঙ্গে বিয়ে হয় একই এলাকার ঝর্না আক্তারের। তাদের সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই আবদুর রব ঝর্নাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতে থাকেন।
বিভিন্ন সময় আবদুর রব ঝর্নার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকায় আদায় করেন। পরে এক সময় আবদুর রব আরেকটি বিয়ে করেন। এরপর থেকে ঝর্না যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এতে তার উপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। টাকা না দিলে ঝর্নাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন তিনি।
২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর রাত আড়াইটায় টাকা নিয়ে আবদুর রব ও ঝর্ণার মধ্যে ঝগড়া বাধে। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে হত্যা করা হয়। পরদিন নিহতের বাবা শামসুল হক বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত মঙ্গলবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন।