জয়পুরহাটে নিখোঁজের প্রায় পাঁচ মাস পর লাউগাছের নিচে মাটি খুঁড়তে গিয়ে নাঈম (২৩) নামের এক যুবকের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধারের পর হত্যাকারী স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাবের যৌথ অভিযানে বগুড়া সদর উপজেলার পীরগাছা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মোজাম্মেল আলীর ছেলে রেজ্জাকুল ও তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন। তারা পাঁচবিবির ধরঞ্জী গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, “২২ এপ্রিল ঈদের দিন সন্ধ্যায় নাঈম বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ২৫ এপ্রিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নাঈমের পরিবার। পরে ৯ সেপ্টেম্বর ধরঞ্জী গ্রামের সামছুল ইসলামের বাড়িতে রাজমিস্ত্রিরা নতুন শৌচাগার নির্মাণের জন্য মাটি খনন করতে যান। এ সময় লাউগাছের নিচের মাটি খুঁড়তে গিয়ে দুর্গন্ধ বের হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মাটি খুঁড়ে একটি প্যান্ট ও মাথার খুলিসহ হাড়ের স্তূপ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নাঈমের মা ১০ সেপ্টেম্বর বাড়ির মালিকসহ তিনজনের নামে মামলা করেন।”
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সাবিনার সঙ্গে নাঈমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এর জের ধরেই পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নাঈমকে হত্যা করে মরদেহ মাটি চাপা দেওয়া হয়।