পাবনায় রাতভর অভিযান চালিয়ে বিএনপির বিপুল নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাত থেকে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ-প্রশাসন) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে বিএনপির নেতাদের দাবি ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে অভিযান চালিয়ে তাদের অর্ধশত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারদের মধ্যে পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও পাবনা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব তৌফিক হাবিবসহ তিনজন, আটঘরিয়া উপজেলা মৎসজীবী দলের সভাপতি ফরিদসহ দুইজন এবং আর-আতাইকুলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শান্ত ও মাধপুরের সোলাইমান, বেড়া পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. ফারুক আহমেদ জনি, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. দুলাল, ঈশ্বরদীর ৭ জন, সুজানগরের ৬ নেতাকর্মী রয়েছেন। এছাড়া আরও নেতাকর্মী রয়েছেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার বলেন, “অনেক নেতাকর্মীদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই, অনেকেই জামিনে রয়েছেন। তারপরও তাদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ঢাকায় আমাদের মহাসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে এই গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। কিন্তু কোনোমতেই এই মহাসমাবেশ আটকানো সম্ভব নয়, মানুষ স্রোতের মতো মহাসমাবেশে যাবে।”
এব্যাপারে পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, “গণগ্রেপ্তার করলে তো অনেক গ্রেপ্তার হতেন। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, আগে মামলা রয়েছে বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তাদেরকেই কেবলমাত্র গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”