দুই বাংলায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তাঁর অভিনয় জীবনে আসার ঘটনাটি গল্পময়। তাজ হোটেলে তিনি তখন কর্মরত। পরিচালক দুলাল লাহিড়ী তখন বাংলা ধারাবাহিক বালিকার প্রেমndash;এ একটি চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন তাকে। এরপর বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে মুখ দেখানোর পরে আসে তৃষ্ণা (১৯৯৬) ধারাবাহিকে মানসী চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হতে শুরু করেন শ্রীলেখা। বাংলা ও ওড়িয়া চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ আসতে শুরু করে সেই সময়। ১৯৯৮ সালে বাসু চ্যাটার্জীর lsquo;হঠাৎ বৃষ্টিrsquo; ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। এই ছবির দারুন সাফল্য বাংলা ছবির দর্শকের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাকে প্রসারিত করে। অভিনেত্রীর দাবি এই ছবির সাফল্যের পরেও বড়পর্দায় কোনো উল্লেখযোগ্য কাজের প্রস্তাব তাঁর কাছে আসেনি। শ্রীলেখার দাবি, টালিউড অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রেমপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় তিনি বাংলা ছবিতে নায়িকা চরিত্রে বঞ্চিত হন। একসময় বড়পর্দায় উল্লেখযোগ্য কাজ না পাওয়ায় ছোটপর্দায় অভিনয় চালিয়ে যান এই অভিনেত্রী। অন্যদিকে জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো lsquo;মীরাক্কেলrsquo;-এ বিচারক হিসেবে প্রথম থেকেই ছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রজতাভ দত্তের সঙ্গে বরাবরই বিচারকের আসনে দেখা গেছে ভারতের এই সুপরিচিত অভিনয়শিল্পীকে। মীরাক্কেলের পরবর্তী আয়োজনে শ্রীলেখার না থাকার ঘোষণা করা হয়।