সচিবালয়ে প্রথম কর্মদিবসে তেমন উপস্থিতি নেই

টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়সহ সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আজ খুলেছে। প্রথম কার্যদিবসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।

সাধারণ ছুটি ও ঈদুল ফিতরের তিন দিনসহ মোট পাঁচ দিনের টানা ছুটি শেষে সোমবার (২৪ এপ্রিল) খুলেছে সরকারি অফিস। কিন্তু ঈদ আমেজ এখনো কাটেনি। প্রথম কর্মদিবস ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। ঈদের শুভেচ্ছা ও কৌশল বিনিময়ের পর অনেককে খোশগল্প করতে দেখা যায়।

সচিবালয়ে কয়েকটি মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের পাঁচজন কর্মকর্তার মধ্যে তিনজন উপস্থিত। অনেক কক্ষে চেয়ার, টেবিল ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সকালে অফিসে এসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এ ছাড়া সচিবালয়ে গাড়ি রাখার স্থানগুলোও অন্যান্য দিনের তুলনায় ফাঁকা। চার নম্বর ভবনের দক্ষিণ, ছয় নম্বর ভবনের উত্তর পাশের পার্কিংয়ের স্থানসহ বিভিন্ন জায়গা ফাঁকা ছিল। সচিবালয়ের করিডরগুলো, লিফটগুলোর সামনে ভিড় ছিল না। আর সচিবালয়ে দর্শনার্থী কক্ষটিও ছিল ফাঁকা।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ অফিস খুলেছে। তবে অনেকেই তিন দিন ঐচ্ছিক ছুটি নিয়ে টানা সাত দিনের ছুটি উপভোগ করছেন। ঈদের পরে প্রথম কর্ম দিবস মোটামুটি এমনই হয়ে থাকে। খুব একটা কাজ হয় না। যারা অফিসে এসেছেন তাদেরও গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন। তাই আগামী সপ্তাহ থেকে সচিবালয়ের অফিস পুরোদমে শুরু হবে। 

বাণিজ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, “প্রায় অর্ধেক কর্মকর্তা-কর্মচারী এখনো আসেনি। যারা দূরে গেছেন, তারা কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসবেন। অনেক কর্মকর্তা ছুটিতে আছেন। ঈদের ছুটির সঙ্গে অনেকে বাড়তি ছুটি নেওয়ায় অফিস সেভাবে জমে ওঠেনি। আশা করছি, দু-এক দিনের মধ্যে অফিসে কর্মতৎপরতা বাড়বে।”

পল্লী-উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের হিসাবরক্ষণ অফিসার (ডিডিও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “অফিস আওয়ারে আগেই আসছি। মাস শেষ বেতন, ভাতা দিতে হবে তাই চলে এসেছি। আমাদের দপ্তরে পাঁচজন এর মধ্যে একজন ছুটিতে আছে।”

স্থানীয় সরকার বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, “ঈদের ছুটি বাড়িতে যাইনি। ঈদ এখানে ভালো কেটেছে। আমরা যে কক্ষে বসি, সেখানে চারজনের মধ্যে এসেছে দুইজন। অন্য কলিগরা বাড়ি গেছে, ছুটিতে আমরা এখানেই কাজ করছি।”