ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম গত ১৩ মে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে খুন হন। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে দুই দেশের পুলিশ।
এদিকে আনোয়ারুল আজীম খুনে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের মুঠোফোনের ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১০ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই আদেশ দেন।
আদালতে দেওয়া ডিবির আবেদনে বলা হয়েছে, আনোয়ারুল আজীম খুনের ঘটনায় করা মামলায় আলামত হিসেবে চরমপন্থী নেতা শিমুল ভূঁইয়া, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ ওরফে বাবু, শিমুলের ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানের মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। খুনের পর তারা নিজেদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন রকম তথ্য আদান-প্রদান করেছেন।
ডিবি আদালতকে বলেছে, সংসদ সদস্য খুনের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য গ্রেপ্তার চার আসামির মুঠোফোনের কথোপকথন, মুঠোফোনের কল রেকর্ড এবং কী ধরনের তথ্য তারা আদান-প্রদান করেছেন, তা জানা জরুরি। এ ছাড়া আসামিদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এবং মোবাইল ফোনে থাকা ছবি, ভিডিওসহ অপহরণ ও খুন-সংক্রান্ত কোনো তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে কি না, সেটি জানা প্রয়োজন।
জব্দ করা মুঠোফোনগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে ডিবির করা আবেদন সোমবার মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে ডিবি। এর মধ্যে খুনের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত মো. আক্তারুজ্জামান ২০ মে ঢাকা থেকে প্রথমে দিল্লি যান। সেখান থেকে নেপালের কাঠমান্ডু যান তিনি। এরপর দুবাই হয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন বলে ডিবির তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানতে পেরেছে।
খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন অন্য আসামিদের মধ্যে মো. সিয়াম হোসেন নেপালে আটক হন। এখন তিনি কলকাতা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। আরেক আসামি ‘কসাই’ নামে পরিচিত জিহাদ হাওলাদারও ভারতের কলকাতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন শিমুল ভূঁইয়া, তার ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও কাজী কামাল। এর মধ্যে প্রথম তিনজন অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পলাতক থাকা অন্য আসামিরা হলেন মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজি, চেলসি চেরি ওরফে আরিয়া, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজি ও মো. জামাল হোসেন।






























