শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো লিখিত প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রোববার (২০ অক্টোবর) দৈনিক মানবজমিনের রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার কথা’য় এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমি শুনেছি যে তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে এর কোনো লিখিত প্রমাণ নেই। অনেক চেষ্টা করেও আমি কোনো প্রমাণ পাইনি। হতে পারে তিনি পদত্যাগপত্র লেখার সময় পাননি।”
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ওই দিন দুপুরে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সাংবাদিকদের জানান, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। তার আগে দেশের কয়েকটির রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৫ আগস্টের ঘটনার বর্ণনা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে একটা ফোন আসে যে প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এটা শোনার পর সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর ফোন করে জানানো হয়, তিনি আসবেন না।”
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “চারদিকে অস্থিরতা চলছিল। আমি জানতাম না কী ঘটতে যাচ্ছে। গুজবে বিশ্বাস হচ্ছিল না। তাই আমার সামরিক সচিবকে বলি খোঁজ নিতে। কিন্তু তার কাছেও কোনো তথ্য ছিল না।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমরা অপেক্ষা করছিলাম ও টিভিতে চোখ রাখছিলাম। এ বিষয়ে (পদত্যাগের) কোথাও কোনো সংবাদ নেই। আমি শুনেছি যে তিনি (শেখ হাসিনা) দেশত্যাগ করেছেন। কিন্তু তিনি আমাকে কিছু জানাননি।”
পদত্যাগপত্রের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “কয়েক দিন পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমার কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র সংগ্রহের জন্য আসে। আমি তাকে বলি, আমিও এটা খুঁজছি।”































