• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কম্বোডিয়ায় একতরফা নির্বাচন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৩, ০২:২৮ পিএম
কম্বোডিয়ায় একতরফা নির্বাচন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

কম্বোডিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় রোববার। শক্তিশালী প্রতিপক্ষহীন একতরফা সাধারণ নির্বাচনে দেশটির ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী জয়ের দাবি করেছেন। এরপরই দেশটির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে দেশটিতে কিছু বিদেশি সহায়তা কর্মসূচিও স্থগিত করছে ওয়াশিংটন।

সোমবার (২৪ জুলাই) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, রোববার কম্বোডিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শক্তিশালী প্রতিপক্ষহীন একতরফা এই নির্বাচনে ভূমিধস জয়ের দাবি করে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের রাজনৈতিক দল কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি)। ৭০ বছর বয়সী হুন সেন কম্বোডিয়ার ক্ষমতায় আছেন গত ৩৮ বছর ধরে।

সিপিপির সঙ্গে এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে আরও ১৭টি রাজনৈতিক দল। যদিও এই ১৭টি দলের বেশিরভাগই নাম-সর্বস্ব। তাদের কোনো দলই এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে একটি আসনেও জয় পায়নি। আর তাই ব্যাপক প্রশ্নবিদ্ধ এই নির্বাচনের পরপরই কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি কিছু সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র।

রোববারের বহুল বিতর্কিত কম্বোডিয়ার এই নির্বাচনে ৮১ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে দেশটির নির্বাচন কমিটি জানিয়েছে। নির্বাচন কমিটির মতে, রোববারের নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল ৮৪ শতাংশ। চলতি বছরের মে মাসে কাগজে ত্রুটি থাকার’ অভিযোগে সিপিপির একমাত্র প্রতিপক্ষ ক্যান্ডেললাইট পার্টিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ওয়াশিংটন ‘বিক্ষুব্ধ’ যে রোববারের নির্বাচনে (কম্বোডিয়ার) প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের দল সিপিপি কোনো কার্যকর প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়নি এবং এই নির্বাচন ‘অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না। নির্বাচনের আগে কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষ দেশটির রাজনৈতিক বিরোধী, মিডিয়া এবং সুশীল সমাজের বিরুদ্ধে হুমকি ও হয়রানিতে জড়িত ছিল। আর এটি দেশের সংবিধানের চেতনা এবং কম্বোডিয়ার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাকে ক্ষুণ্ন ও অবমূল্যায়ন করেছে।

তিনি আরও বলেন, আর এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এমন ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিয়েছে যারা গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করেছে এবং একইসঙ্গে দেশটিতে কিছু বিদেশি সহায়তা কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সমালোচকরা অবশ্য কম্বোডিয়ার এবারের সাধারণ নির্বাচনকে ‘ব্যাপক প্রতারণা’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এমনকি দেশটির শক্তিশালী কোনো বিরোধী দল এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আর যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাদের হুন সেনের সিপিপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতাও নেই। হুন সেন তার বড় ছেলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে দলের ক্ষমতায় থাকার পথ পোক্ত করতেই বিরোধী শক্তিবিহীন এই নির্বাচন আয়োজন করেছেন।

রোববারের ওই বিবৃতিতে ম্যাথিউ মিলার কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষকে প্রকৃত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারের অবসান এবং সরকারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে দেওয়া রায় বাতিল করা এবং ‘দেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানের উন্নতি’ করার জন্য স্বাধীন গণমাধ্যমকে হস্তক্ষেপ ছাড়াই কাজ করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

Link copied!