• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

মস্কোতে ৮টি ড্রোন হামলা চালাল ইউক্রেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৩, ০২:৩৯ পিএম
মস্কোতে ৮টি ড্রোন হামলা চালাল ইউক্রেন

রাশিয়ার রাজধানী মস্কো ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে। এ ঘটনাকে ‘বিরল’ উল্লেখ করে সামান্য ক্ষয়ক্ষতির দাবি করেছেন রুশ মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন। মঙ্গলবার সকালে আটটি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে, যদিও সব কটিকে গুলি এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা ব্যবহার করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (৩০ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, মস্কোতে আটটি ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দফায় দফায় বড় ধরনের বিমান ও ড্রোন হামলার মধ্যে মস্কোতে এ হামলার ঘটনা ঘটল।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আজ (মঙ্গলবার) সকালে মস্কো শহরে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে কিয়েভ সরকার ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে তিনটিকে ইলেকট্রনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ভূপাতিত করা হয়েছে। এ ছাড়া মস্কো অঞ্চলে প্যান্টসির-এস সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম দ্বারা আরও পাঁচটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।

রুশ মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ড্রোনের আঘাতে একাধিক ভবন সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই শহরের সব জরুরি পরিষেবার কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। এখন পর্যন্ত কেউ গুরুতর আহত হননি।

মস্কো অঞ্চলের গভর্নর আন্দ্রেই ভোরোবিভ টেলিগ্রাম চ্যানেলে দাবি করেন, মস্কোর দিকে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু ড্রোনগুলো কোথা থেকে এসেছে বা কারা উড়িয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি রুশ প্রশাসন।

এদিকে বিবিসি পৃথক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে সোমবার ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান জেনারেল কিরিলো বুদানভ কিয়েভে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দ্রুত দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।

এর আগে রোববার রাতের আঁধারে কিয়েভে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। ওই হামলাকে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কিয়েভে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যাপক ওই হামলায় একজন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হন। এ ছাড়া একই দিন কিয়েভের ওপর ৩৬টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয় বলেও দাবি করে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।

Link copied!