গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া যুদ্ধবিরতির আগে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
কাতারভিত্তিক এ গণমাধ্যম জানায়, শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে চার দিনের সাময়িক বিরতি শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এর আগেই বৃহস্পতিবার গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির জাবালিয়াতে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। হামলায় অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন।
তবে বৃহস্পতিবার ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত আবু হুসেইন স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় ২৭ জনের মৃত্যুর খবর জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্কুলটি যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনি নাগরিকরা তাদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল।
এদিকে উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের প্রবেশপথ ও জেনারেটরগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা জানান, হাসপাতালটির বড় একটি অংশকে লক্ষ্য করে তীব্র বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বিগত সপ্তাহ থেকে অভিযান চলা বেইত লাহিয়ায় অবস্থিত এ হাসপাতালটিতে ২০০ জনের বেশি রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী ও বাস্তুচ্যুত অনেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফার তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের শেখ নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। উত্তর গাজার শেখ রেদওয়ানের আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর পশ্চিম তীরে মৃতের সংখ্যা ২২৯ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে ৫২ জনই শিশু। এদিকে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের নৃশংস হামলায় ১৪ হাজার ৮০০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজা কর্তৃপক্ষ। হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছে।