• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

যুদ্ধবিরতির পর গাজায় আবার হামলা হবে : ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৩, ১১:৫২ এএম
যুদ্ধবিরতির পর গাজায় আবার হামলা হবে : ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে শুক্রবার চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে যাচ্ছে ইসরায়েল ও হামাস। তবে এ বিরতি শেষে আবারও হামলা জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

বৃহস্পতিবার নৌবাহিনীর বিশেষ অভিযান ইউনিটের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সময় ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, স্বল্প সময়ের বিরতি শেষ হলে আরও অন্তত দুই মাস হামাসের বিরুদ্ধে তীব্রতর লড়াই চালিয়ে যাবে ইসরায়েলের বাহিনী।

তিনি বলেন, “আগামীতে আপনারা শুধু বন্দীদের মুক্তি দেখতে পাবেন। তবে এটা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হবে।”

সেনাদের উদ্দেশে ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, “বিরতির সময় সংগঠিত হতে হবে। এ সময় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে, তদন্ত করতে, আরও অস্ত্র সরবরাহ করতে প্রস্তুত হতে হবে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে চাই। বন্দীদের পরবর্তী দলগুলোর জন্য উত্তেজনা তৈরি করতে চাই। কারণ, শুধু চাপ প্রয়োগের মাধ্যমেই তারা আমাদের কাছে ফিরে আসবে।”  

ইসরায়েলের নৃশংস হামলার প্রায় দেড় মাস পর শুক্রবার ফিলিস্তিনের গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি শুরু হচ্ছে। যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী কাতার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, চুক্তি অনুযায়ী জিম্মি ১৩ নাগরিককে আজ মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী থাকা ৫০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

বুধবার (২২ নভেম্বর) ইসরায়েল সরকার ও হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়। সে অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে গাজায় চার দিন ইসরায়েলি হামলা বন্ধ রাখার কথা ছিল। কিন্তু ইসরায়েল জানায়, শুক্রবারের আগে হামলা বন্ধ করবে না তারা। তাই এর আগে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় হামাস।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হন এবং হামাসের কাছে বন্দী আছেন ২৪০ জনের বেশি মানুষ। এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় নৃশংসভাবে পাল্টা হামলা শুরু করে। ১৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৫ হাজার ৬০০ শিশু রয়েছে।

Link copied!