• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
খার্তুমে তুমুল যুদ্ধ

সহিংসতার শিকার হচ্ছে শিশুরা: জাতিসংঘ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৩, ১২:৫৩ পিএম
সহিংসতার শিকার হচ্ছে শিশুরা: জাতিসংঘ

সুদানে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার তুমুল সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল। মার্কিন গোয়েন্দারা বলছে, উভয় পক্ষ সম্ভাব্য আলোচনার আগে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোত অবস্থান সংহত করতে লড়াই করছে। ফলে দেশটিতে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে পড়ছে। এদিকে লড়াইয়ে শিশুদের ওপর সহিংসতার ভয়াবহতা বিষয়ে সম্পর্কে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

একাধিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলেও দুই সপ্তাহেরও বেশি দীর্ঘ এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নেতাদের আলোচনায় বসা নিয়ে খুব কমই আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) সুদানের সেনাবাহিনী রাজধানী খার্তুমের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও সেনা সদরদপ্তরের কাছ থেকে র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস(আরএসএফ) সদস্যদেরকে হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক এভ্রিল হেইনস বলেছেন, উভয় পক্ষই বিশ্বাস করে যে তারা সামরিকভাবে জয়লাভ করতে সক্ষম। এছাড়া আলোচনার টেবিলে বসার জন্য তাদের কিছু দাবি রয়েছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও সংঘর্ষ অব্যাহত রাখায় হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সুদানকে অস্থিতিশীল করার জন্য দায়ীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে।

এদিকে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সুদানের পরিস্থিতি বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে এবং শিশুরা ক্রসফায়ারের শিকার হচ্ছে। সুদানের শিশুদের স্বার্থে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।”

হামলার কারণে দেশজুড়ে শিশুদের সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা সীমিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলছে, ১৫ এপ্রিল সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে সুদানে ১৯০ জন শিশু নিহত ও ১ হাজার ৭০০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার সুদানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৫৫০ নিহত এবং প্রায় ৫ হাজার নাগরিক আহত হয়েছেন।

জাতিসংঘ মানবিক ত্রাণ সহায়তা প্রদানের নিরাপদ পথ করে দেওয়ার জন্য সুদানের যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে চাপ প্রয়োগ করছে। এর আগে জাতিসংঘের ৬টি ট্রাক লুট হয়। এছাড়া রাজধানীতে বিমান হামলায় যুদ্ধবিরতি উপেক্ষিত হচ্ছে।

জাতিসংঘের ত্রাণ প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, তিনি সুদানের যুদ্ধরত পক্ষগুলোর সঙ্গে দু’তিন দিনের মধ্যে সামনাসামনি বৈঠকে বসার আশা করছেন। তিনি তাদের কাছ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য তাদের কাছ থেকে ত্রাণ বহরের নিরাপত্তার গ্যারান্টি লাভের চেষ্টা করবেন।

Link copied!