• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
সুদানে সংঘর্ষ

নিহত বেড়ে ৫২৮, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়লেও চলছে লড়াই


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১, ২০২৩, ০২:৪৬ পিএম
নিহত বেড়ে ৫২৮, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়লেও চলছে লড়াই

সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে সংঘর্ষ চলছে। এরই মধ্যে এ সংঘর্ষে প্রাণ গেছে ৫২৮ জনের। আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এদিকে দুই বাহিনী একে অপরের বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স পৃথক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এর আগে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, দুই পক্ষই তা অমান্য করে লড়াই চালিয়ে যায়।

দুই পক্ষই বলছে, আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি যা রোববার মধ্যরাতে শেষ হওয়ার কথা ছিল তা আরও ৭২ ঘণ্টার জন্য বাড়ানো হয়েছে।

সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংঘর্ষে আহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে। তবে এসব সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করেন অনেকে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হলেও খার্তুমে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই গোলাগুলি চলেছে।

আরএসএফ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় আহ্বানে তারা যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে।

সেনাবাহিনী বলছে, ‘বিদ্রোহীরা’ যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে এমনটাই তারা প্রত্যাশা করে। তবে তাদের বিশ্বাস, ‘বিদ্রোহীরা’ তা মানবে না।

এদিকে সুদান থেকে বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের এরই মধ্যে সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে। আবার বহু মানুষ চাদ, মিসর, দক্ষিণ সুদান এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের মতো দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।

উদ্ধারকারীরা বলছে, খার্তুম থেকে নিরাপদে বের হওয়াটা সবচেয়ে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পোর্ট সুদানে অপেক্ষা করছে উদ্ধারকারী জলযানগুলো। তবে সেখানে পৌঁছানোর পথ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আকাশপথে উদ্ধারের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি রয়েছে। কয়েক দিন আগে একটি তুর্কি উদ্ধারকারী বিমান হামলার শিকার হয়।  

আল-জাজিরার প্রতিবেদক হিবা মরগান খার্তুম থেকে বলেছেন, সেখানকার মানুষ যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ানোর ঘোষণায় খুব একটা প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

তিনি বলেন, “খার্তুমের বাসিন্দারা দেখেছে আগের যুদ্ধবিরতি কীভাবে কার্যকর হয়েছে। তারা সেনাবাহিনীর একের পর এক বিমান হামলা ও র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের আর্টিলারি স্ট্রাইক দেখেছে। এ কারণে তাদের অনেকেই বলছেন এই যুদ্ধবিরতিও আগের যুদ্ধবিরতির মতোই শেষ হতে পারে।”

সেনাবাহিনী রোববার জানিয়েছে, তারা পশ্চিম দিক থেকে খার্তুমের দিকে যাওয়া আরএসএফের বহরগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আরএসএফ বলছে, খার্তুম প্রদেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় তাদের অবস্থানে হামলার জন্য আর্টিলারি এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী।

Link copied!