• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে হেনস্তা, পুলিশ সদস্য আটক


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৩, ১১:৩৮ এএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে হেনস্তা, পুলিশ সদস্য আটক

জাহাঙ্গীরনগর  বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে মেহমুদ হারুন নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তার কাছ থেকে অবৈধ ওয়াকিটকি এবং হ্যান্ডকাফ জব্দ করা হয়।

রোববার (১১ জুন) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

আট মেহমুদ হারুন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্সের এসএএফেরর কনস্টেবল পদে কর্মরত। তার বাড়ি সাভারে রাজাশনে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন সড়কে এক ছাত্রীকে হেনস্তা করেন মেহমুদ হারুন ও তার সঙ্গে থাকা বিদ্যুৎ চৌধুরী নামের এক যুবক। তখন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বন্ধুদের কল করেন। এ সময় অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন ফটক দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কনস্টেবলের সঙ্গে থাকা বিদ্যুৎ চৌধুরী পলিয়ে গেলেও মেহমুদকে ধরে ফেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাকে বেধড়ক মারধর করা করা হয়। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কাছে তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, “আমি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের সমানের রাস্তা দিয়ে হলে ফিরছিলাম। এমন সময় ওই পুলিশ কনস্টেবল ও তার সঙ্গে আরও একজন এসে আমার পথ রোধ করে এবং নানা ধরনের আপত্তিকর কথা বলে। আমি একটি রিকশায় উঠলেও তারা নানাভাবে অসভ্য আচরণ করে। এরপর আমি বন্ধুদের ফোন করি। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন ফটক দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। একজন বাসে উঠে পালিয়ে যায়। তবে আমার বন্ধুরা পুলিশ কনস্টেবলকে ধরে ফেলে।”

অভিযুক্ত মেহমুদ হারুন অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, “আমি একা ছিলাম না। আমার সঙ্গে যে ছোট ভাই ছিল সেও জড়িত। তার নাম বিদ্যুৎ চৌধুরী। সে পালিয়ে গেছে।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহিন বলেন, “শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তকে আমাদের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্ত প্রাথমিকভাবে তার দোষ স্বীকার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।”

এদিকে রাত সাড়ে ১২টায় আশুলিয়া থানা পুলিশের চার থেকে পাঁচজন কর্মরত পুলিশ সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় আসেন। এ সময় উপস্থিত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবজাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধানের সঙ্গে উদ্ধত আচরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে হেয় করে কথা বলেন। পররে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে এসআই আবজাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, “উদ্ধত আচরণ করা এসআই আবজালকে আশুলিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমি বিষয়টি  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিহিত করেছি। অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা নেবো। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় একটি মামলা হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সহকারী অধ্যাপক এস এম এ মওদুদ আহমেদ বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরছে। অভিযুক্তকে আমরা আশুলিয়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছি৷ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করবে।”

Link copied!